বিশ্বের সবচেয়ে সরু ভবন হিসেবে সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের আকর্ষণ লাভ করেছে ইন্দোনেশিয়ার একটি হোটেল। হোটেলটি ইন্দোনেশিয়ার সেন্ট্রাল জাভা, সালাটিগার একটি গলির ভেতর অবস্থিত। নেটিজেনরা এটাকে "বিশ্বের সবচেয়ে সরু হোটেল" বলে অভিহিত করছেন। প্রতিবেদন-এনডি টিভি।
হোটেলের আগে এর জায়গাটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। পরবর্তীতে পিটুরুম প্রকল্পের অংশ হিসেবে স্থপতি আরি ইন্দ্র ভবনটির ডিজাইন করেন। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুসারে, পাঁচ তলা বিশিষ্ট হোটেলটির প্রস্থ মাত্র নয় ফুট এবং সেখানে সাতটি কক্ষ রয়েছে। হোটেলের ছাদে একটি লাউঞ্জও রয়েছে।
সংকীর্ণ জায়গার কারণে ভবনটি ডিজাইন করতে স্থপতিকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। তবুও হোটেলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য একটি গভীর ভিত্তিও তৈরি করা হয়েছে।
হোটেলের স্থপতি আরি ইন্দ্র বলেছেন, প্রযুক্তিগত অসুবিধাগুলো বাদেও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল হোটেল শিল্পের সাধারণ মানসিকতার (বৃহত্তম, সবচেয়ে লম্বা, সবচেয়ে বিলাসবহুল) সাথে এই সরু ভবনের আইডিয়াকে গ্রহণ করানো।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভবনের এই সীমাবদ্ধতাকে আমাদের বিক্রয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী বিন্দুতে পরিণত করার চেষ্টা করেছি। সেই লক্ষ্যে আমরা একটি মাইক্রো-স্পেস নির্মান করেছি। এই সল্প পরিসরেও অতিথিদের জন্য চলাচলের যথেষ্ট জায়গা রাখা হয়েছে। এত কম জায়গাতেও আরাম আয়েশে থাকা সম্ভব এটা দেখে অতিথিরা ভীষণ অবাক হয়েছেন। অভিনব এই ধারণাকে তারা বেশ আগ্রহভরে গ্রহণ করেছেন।
অতিথিরা স্থাপত্যটির নকশা ও কার্যকারিতারও অনেক প্রশংসা করেছেন। ভবটির শীর্ষে রয়েছে ক্যান্টিলিভারড স্টিল গ্রেটিং বৈশিষ্ট্যযুক্ত যন্ত্রপাতি ও পরিষেবা কক্ষ। এছাড়া প্রাকৃতিক বায়ু চলাচলের সুবিধার্থে ভবনটির পূর্ব দিকের সম্মুখভাগে ফুলকার মতো বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
নতুন এই ডিজাইনটি সামাজিক মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। নেটিজেনরা মাইক্রো রুমগুলোর প্রশংসা করছে যেখানে সমস্ত সুবিধা এবং শিল্পকর্ম রয়েছে৷
এটাকে সালাতিগার মতো ইন্দোনেশিয়ার অন্যান্য ছোট শহরগুলোতে ভূমি-সম্পর্কিত সমস্যার উদ্ভাবনী উদ্যোগ হিসেবেও প্রশংসিত করা হচ্ছে। এছাড়াও এটাকে উন্নয়নের জন্য একটি বিকল্প মডেল হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।