“ইঁদুর ছানা ভয়ে মরে, ঈগল পাখি পাছে ধরে!” ঈগল পাখি পিছু ধরুক বা না ধরুক, ইঁদুর এবার সব দৌড়ে পালাবেই। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে এমন এক ভিআর গগল যাতে বন্দী ইঁদুরও বুঝতে পারবে পাখি তেড়ে এলে কেমন লাগে। এই গগল গবেষণাগারের ইঁদুরের উপর একটি ভ্রম তৈরি করেছে।
কোনো মজার গল্প বা ইয়ার্কি নয়, ভার্চুয়াল রিয়ালিটির ছোঁয়ায় এখন ইঁদুরও কুপোকাত। ‘ডাবড্ মিনিয়েচার রোডেন্ট স্টেরিও ইলুমিনেশন ভিআর’ অর্থাৎ (আইএমআরএসআইভি) দু’টি লেন্স ও স্ক্রিনের একটি থ্রিডি ছবি তৈরি করেছে। মানুষের জন্য যেমন ভিআর রয়েছে, তেমন ইঁদুরও একটি ছদ্ম দুনিয়ার অনুভূতি নিতে পারবে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।
ইলিনয়িসের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই গগল তৈরি করেছেন। এই গবেষণার প্রধান ডেনিয়েল ডোমবেক বলেন, 'এই গগল তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সংযুক্ত হতে সাহায্য করেছে। তাদের (ইঁদুরের) প্রাকৃতিক আচার-আচরণ পর্যবেক্ষণ করা সহজ হয়েছে। শিকারী পাখির আক্রমণের মতো বিরূপ পরিস্থিতিতে তাদের আচরণ প্রত্যক্ষ করা গেছে।'
গবেষকরা গগলের ডিস্কটি মাথার উপর অবধি বাড়িয়েছে। এটি একটি কালো পর্দা দ্বারা বেষ্টিত। যা মাঠের দিকে ইঁদুরদের দৃষ্টি পর্দায় ভাসিয়ে তোলে। এই গবেষণার শিক্ষা সহকারি জন ইসা জানান, তারা পাখির তাড়া খাওয়ায় ইঁদুরের মস্তিষ্কে চলমান কার্যকলাপ দেখতে পাচ্ছিল। এতে তারা ইঁদুরের দৃষ্টির গভীরতা ও দূরত্বের অনুমান সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন।
তারা লক্ষ্য করেন, ল্যাবে বন্দী ট্রেডমিলের ইপর দৌড়ানো এই ইঁদুরের আচরণ বনে মুক্ত কোনো ইঁদুরের মতোই। অর্থাৎ প্রাণিদের ক্ষেত্রেও মানুষের মতো অবাস্তব দুনিয়ার অভিজ্ঞতা প্রদান সম্ভব হচ্ছে। এতে ইঁদুরের সমস্যা এবং অবাস্তব ধাঁধা সমাধানের দক্ষতার বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। এই আবিষ্কার ভবিষ্যতের গবেষণায় বেশ উপকারী প্রভাব বিস্তার করবে বলে তাদের বিশ্বাস।