মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বিখ্যাত ছোট গল্প 'মমতাদি'। এই গল্পে গৃহকর্মী ও ছোট শিশুর মধ্যে গভীর আন্তরিকতা পাঠকের মন ছুঁয়েছে। অনেকে হয়তো মনে মনে ভেবেছে, কেমন হবে এই গল্পের বাস্তব উদাহরণ? আদৌ কি গৃহকর্মীর প্রতি এমন সহানুভূতি শিশুমনে জাগতে পারে?
ভারতে চেন্নাইয়ের এক শিশু দেশবাসীর মনে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। বালক বয়সেই মনে উদারতার পাহাড় গড়ে আছে তার মনে। তার নাম অঙ্কিত বালাজি। বালক বয়সেই তার মন মনুষ্যত্বে পরিপূর্ণ। অঙ্কিতের বয়স যখন ৬ মাস, তখন থেকেই তার দেখাশোনা করতেন তাদের বাড়িতে কর্মরত সরোজা। তার প্রতি সরোজার ভালোবাসা আর যত্ন ছোট মনে প্রভাব ফেলেছে। প্রতিবেদন- এনডিটিভি।
সম্প্রতি এক সাপ্তাহিক ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে খেলেছে অঙ্কিত। সপ্তাহের শেষ ভাগে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে খেলে ভারতীয় ৭ হাজার টাকা আয় করেছে সে। প্রথম আয়ের আনন্দ সে পরিবারের সাথে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শিশু অঙ্কিত বাড়িতে থাকা গৃহকর্মী সরোজাকেও পরিবারের একজন মনে করে। তাই তার টুর্নামেন্টে পাওয়া টাকায় মোবাইল কিনে সরোজাকে উপহার দিলো সে। শিশুর এই মহানুভবতা ইন্টারনেটে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছে।
অঙ্কিতের পিতামাতা ভি.বালাজি এবং মীরা বালাজি ছেলের এই চিন্তাধারায় গর্ববোধ করেন। তার বাবা এক্স (টুইটার)-এ সরোজার সাথে অঙ্কিতের একটি ছবি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, অঙ্কিত খেলায় ৭ হাজার রুপি আয় করেছে। সেখান থেকে ২ হাজার রুপিতে একটি মোবাইল ফোন কিনে সে তাদের রাঁধুনি সরোজাকে উপহার দিয়েছে। অভিভাবক হিসেবে এর চেয়ে বড় পাওনা আর হতে পারেনা।
সেই পোস্টের নিচে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সবাই। অনেকে তাকে আশির্বাদ ও শুভকামনা জানিয়েছে। পোস্টটি অনেকে শেয়ার করেছে। অনেকে তার বাবা-মায়ের আদর্শের প্রশংসা করেছেন। বর্তমান যুগে মানবতার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো শিশু অঙ্কিত।