ধরুন পরিবারের সবাই কোথাও ঘুরতে যাবেন। সবাই মিলে মজা করছেন। হঠাৎ দেখলেন পরিবারের ছোট সদস্য আশেপাশে নেই। খেলতে খেলতে কোথাও চলে গেছে। আশেপাশে সব জায়গায় খুঁজছেন, কিন্তু পাচ্ছেন না। পুলিশ বা অন্যান্য সবার সাহা্য্যেও তাকে না পেয়ে ব্যথিত হৃদয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন। সে কোথায় কিভাবে আছে কিছুই জানেন না। এভাবে দিন যেতে লাগলো। অনেক বছর পর হঠাৎ তাকে খুঁজে পেলেন।
মনে হচ্ছে যেন কোনো সিনেমার গল্প। এরকম ঘটনা অবশ্য হরহামেশা সিনেমা বা উপন্যাসেই দেখা যায়। তবে সেসব কল্পনা তো লেখক মনে বাস্তবের প্রতিচ্ছবি থেকেই আসে।
ব্রিটিশ কিশোর অ্যালেক্স বেটি। তার বসবাস গ্রেটার ম্যানচেস্টারের 'ওল্ডাম' নামের এক শহরে। অ্য়ালেক্সের বয়স যখন ১১ বছর তখন তার মা এবং নানীর সাথে থাকত। তারা একসাথে স্পেনে ঘুরতে গিয়েছিলো। সেখানে সে তা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হারিয়ে যায়। প্রতিবেদন- এনডিটিভি।
এই বালক গত ৬ বছর ধরে নিখোঁজ ছিল। সম্প্রতি তাকে খুঁজে পাওয়া গেছে ফ্রান্সের এক পাহাড়ি এলাকায়। এত বছর পর নানীর কাছে প্রথমবার বার্তা পাঠায় সে। তাকে সাহায্য করেছে সেই পাহাড়ি এলাকার এক লোক।
বিবিসি এর একজন অফিসার জানিয়েছেন, 'গত ১৩ ডিসেম্বর বুধবার তার পরিচয় পাওয়া যায়। সে এখন ১৭ বছর বয়সী যুবকে পরিণত হয়েছে। আপাতত তাকে টুলুজের এক প্রাপ্তবয়স্কদের সেন্টারে রাখা হয়েছে। তাকে আজকেই ব্রিটেনে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'
পুলিশ জানিয়েছে, তাকে ফ্যাবিয়ান অ্যাক্সিডিনি মোটরিস্ট পাইরেনিস পাহাড় ধরে যাওয়ার সময় রাস্তায় খুঁজে পায়। সে পাহাড়ের রাস্তায় একা খালি পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছিল। তার মোবাইল থেকেই অ্যালেক্স তার নানীকে ম্যাসেজ পাঠায়। সেখান থেকে বুধবার সকালে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। এতদিন তার জীবন কেমন কেটেছে এবং সে কোথায় ছিল সে বিষয়ে এখনো তেমন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে অবশ্যই তার জীবনের অভিজ্ঞতা অন্য কিশোরদের মতো ছিল না।