‘মেঘ না চাইতেই জল’ যাকে বলে আরকি! 'ক্রেটার অব ডায়মন্ড স্টেট' পার্কে বান্ধবীর সাথে বেড়াতে গিয়েছিলেন মিস্টার ইভান। গল্প করতে করতে আশেপাশে পরে থাকা পাথরের টুকরো তুলতে লাগলেন তিনি। মজার ছলেই তুলে নিচ্ছিলেন সেসব। মনে মনে ভাবছিলেন, 'এর মধ্যে কোনটি হীরার টুকরা হলে, মন্দ হতো না! কিন্তু তিনি কি জানতেন তার মনের চাওয়াটাই পূরণ হয়ে যাবে!
তুলে আনা পাথরের সাথে সাদা চকচকে একটি পাথরও ছিল। কাঁচ ভেবেই তুলেছিলেন সেই পাথরটিকে। বাড়ি ফিরে এর দীপ্তি দেখে তার সন্দেহ হলো। তাই পাঠালেন পরীক্ষাগারে। অবশেষে তাকে অবাক করে দিয়ে, সন্দেহের এক অন্যরকম সমাধান এলো। প্রতিবেদন- এনডিটিভি।
তিনি ভাবতে পারেননি, এটা হীরকখন্ড হতে পারে। এই প্রথমবারই তিনি এই পার্কে গিয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, এটি কোনো কাচের টুকরা হবে। টুকরোটি অনেক বেশি স্বচ্ছ ছিল। তিনি অনেক কিছুই তুলে নিয়েছিলেন হীরা ভেবে। তবে তার আন্দাজ ছিল না কাঁচ ভেবে তুলে নেওয়া টুকরোটাই আসল হীরা ছিল।
ইভান এটি সম্পর্কে জানতে আগ্রহবোধ করে। তাই আমেরিকার জেমোলজিক্যাল ইন্সটিটিউট অফ আমেরিকা(জিআইএ)-র সাথে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েক সপ্তাহ পর জানা যায়, সেটি আসলে ৪ দশমিক ৮৭ ক্যারেটের খাঁটি হীরার টুকরা। এর আগেও এরকম হীরা সন্ধানের অদ্ভুত কাহিনী রয়েছে। যেখানে খুঁজে পাওয়া রত্ন কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ইভানের ছেলে তাকে বলে, পার্কের সাথে যোগাযোগ করতে। ইভানের ছেলেই তাদের সাথে হীরাটি ভাগ করে নেওয়ার অনুরোধ করে।
পার্কের সহকারি সুপারিন্টেনডেন্ট ওয়েমন কক্স বলেন, 'আমাকে অনেকে ই-মেইল পাঠায়। তারা তাদের সংগ্রহকে শনাক্ত করাতে চায়। তবে যতদূর মনে পড়ে, এই প্রথম কেউ জিআইএ-র মাধ্যমে হীরা শনাক্ত করেছে। তারপরই আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। আমি ইভানের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো। তিনি ঐতিহাসিক হীরাকে পার্কের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'
কক্স আরও বলেন, 'ইভানের খোঁজা পাথরটি তাদের এই অবধি নিবন্ধন করা সবচেয়ে বড় হীরা। এর আগে ২০২০ সালে কেভিন কিনার্ডের পাওয়া পাথরটি বৃহত্তম ছিল। বাদামী সেই পাথরটি ৯ দশমিক ০৭ ক্যারেটের ছিল। ইভানের পাওয়া হীরাটির গঠন পিরামিডের মতো। তাছাড়া এর আকার জেলিবিনের মতো। হীরাটি পুরো ক্রিস্টালের মতো দেখতে। এটি তাদের দেখা অন্য সাদা হীরার চেয়ে অনেকটা উজ্জ্বল।'