নারায়ণগঞ্জ রূপসীর পেরাবো বাজার। বিস্তীর্ণ ও নিস্তরঙ্গ মাঠ। শুধু মাইলের পর মাইল হলদে চাদর বিছানো। সবুজ শ্যামল ও ঋতু বৈচিত্রের এ দেশে নয়নাভিরাম এ দৃশ্যের অবতরণা করেছে সরিষা ফুল। দেখলে মনে হবে খেত জুড়ে চলছে হলুদের মায়াবী আলোর খেলা।
নারায়ণগঞ্জের এ এলাকায় প্রকৃতির নির্মল বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাতাল করা ঘ্রাণ। মধু সংগ্রহ করতে ফুলে নিমগ্ন মৌমাছি ও ভ্রমর। শব্দ করলেও তাদের ধ্যান ভঙ্গ হচ্ছে না, যেন ফুলে সঙ্গে গভীর প্রেমে মগ্ন ভ্রমর।
নতুন বছরের প্রথমদিনেই বই উৎসবে মেতেছে সারাদেশ। নতুন বই বুকে চেপে সরিষার খেতের ভেতর দিয়ে ছুটতে দেখা গেলো উচ্ছ্বসিত কিশোরকে। তখন নতুন বই ও সরিষা ফুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা দুরন্ত কিশোর। চোখে মুখে ছিলো আনন্দের ঢেউ খেলানো হাসি।
সময়টা দুপুর, প্রকৃতিতে শীতের সোনালী রোদের পরশ। রোদের কারণে সরিষা ফুলের রূপের দ্যুতি আরো বেড়ে গেছে। সঙ্গে মৃদু হওয়ায় কচি সরিষা ফুলের দোল। প্রকৃতি প্রেমীরা শুধুমাত্র এ দৃশ্য দেখার জন্য দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসে।
সরিষা ফুলের হলুদ গালিচা মোড়ানো এসব খেতে গবাদি পশু তেমন একটা দেখা যায়না। তবে পেরাবো বাজারের এ সরিষা খেতে মা ছাগল বাঁধা দেখা গেলো। যতদুর নাগাল পায়, চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে সরিষা গাছ।
প্রকৃতি প্রেমীদের বলি, শীতের সরিষার রূপ দেখতে আপনাদের খুব দূরে যেতে হবে না । ঢাকার খুব কাছেই দোহার, তিনশ ফিট, নারায়ণগঞ্জ, আরেকটু দূরে যেতে চাইলে সরিষার রাজধানী মানিকগঞ্জ ঘুরে আসুন। বলে রাখছি, পাহাড়, সমুদ্র, বন-বাদুড়ে ঘোরার যে আনন্দ হয়ত সে আনন্দ পাবেন না, তবে ‘সরিষা ফুল; হৃদয়ে প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দেবে।