জীবন ও জীবিকা নির্বাহে মানুষ কত কিছুই না করে। দরিদ্রতার কষাঘাতে হাড় মানতে হয় অনেকের। তবু অনেকে জীবন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য চালিয়ে যান সংগ্রাম। তেমন-ই সজিব- আয়শা দম্পতি স্বল্প পরিসরে স্থাপন করেছেন কাগজের ঠোঙ্গা বানানোর কারখানা। অন্যের দোকানে কাজ করা সজিব এখন নিজ এলাকায় গড়ে তুলেছেন ‘তাহমিনা প্যাকেজিং’ নামের একটি কাগজের ঠোঙ্গা তৈরির কারখানা।
চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী গ্রামের দম্পতি সজিব ও আয়শা আক্তার দরিদ্রতার কারণে লেখাপড়া বেশিদুর করতে পারেনি তারা। বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা পুজিঁতে স্থাপন করেন এ ব্যবসা। মৈশাদী সড়কের পাশে এ কারখানা স্থাপন করেছে। এই কাগজের ঠোঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন কনফেকশনারি, হোটেল-রেস্তোরা ও মার্কেট গুলোতে সরবরাহ করে থাকেন। স্বল্প দামে তৈরিকৃত ঠোঙ্গা, ও কার্টোনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
এ ব্যাপারে উদ্যোক্তা সজিব জানান, টানাপোড়েন আর অভাবে সংসারে চালাতে হয়েছে আমাদের। অন্যের দোকানে কাজ শেখে কাগজের ঠোঙ্গা, মিষ্টির কার্টুন তৈরি শুরু করি। চার মাস ধরে এ কাজ শুরু করি।তিনি জানান, ভবিষ্যতে বড় পরিসরে ব্যবসা করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।
স্ত্রী আয়শা আক্তার বলেন, ‘স্বল্প পরিসরে আমরা দু'জন মিলে কাগজের ঠোঙ্গা তৈরির ব্যবসা দিয়েছি। বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে এ ব্যবসা স্থাপন করা হয়েছে। ব্যবসার সফলতায় সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
উদ্যোক্তা সজিবের হোসেনের মা মরিয়ম বেগম জানান, ‘আমার ছেলে আগে অন্যের দোকানে কাজ করত। বর্তমানে সে নিজেই একটি স্বল্প আকারে দোকান দিয়েছে। ছেলের ব্যবসার সফলতা কামনা করছি।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে সজিব-আয়শা দম্পতি একটি কাগজের ঠোঙা তৈরির কারখানা দিয়েছে। আমি এ ব্যাপারে অবগত আছি এবং তাদের ব্যবসা সুন্দরমত পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমি করে দিয়েছি। তারা খুব কর্মঠ। আমি তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।’
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, ‘যেকোনো উদ্যোক্তাকে আমরা স্বাগত জানাই। বেকারত্বের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এ ধরনের ছোট বড় উদ্যোগকে সবসময়ই আমরা উপজেলা প্রশাসন থেকে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকি। এ ব্যাপারে উদ্যোক্তা দম্পতি যদি আমাদের কাছে কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতার জন্য আসে তাহলে অবশ্যই তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।’