চাঁদপুরের সদর উপজেলায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। শীতকে উপক্ষো করে জমিতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করছেন তারা।
উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বীজতলা তৈরি করতে দেখা গেছে কৃষকদের সম্প্রতি আমন মৌসুম শেষ হয়ে শুরু হয়েছে বোরো মৌসুম।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বোরো চাষের প্রস্তুতি নিতে কৃষকরা ব্যস্ত রয়েছেন ধানের বীজতলা তৈরিতে। সদর উপজেল কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলার ৫হাজার ৭০০হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ২শত ৪৭ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।, তাছাড়া কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ২ হাজার ৩০ জন কৃষককে উফশী এবং ১হাজার দু‘জনকে হাইব্রিড বোরো বীজ প্রদান করা হয়েছে।
ইব্রাহিমপুর গ্রামের কৃষক রাসেল আহমেদ বলেন, তিনি এবার ১৯ সতর্ক জমিতে বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি নিয়েছেন এখন বীজতলা তৈরি করছেন দু‘দিন পর বীজতলায় বীজ বপন করবেন। মৈশাদী গ্রামের কৃষক মলেক ও অবুল কালাম বলেন, তারা আমন ধান কাটার কাজ শেষ করেছেন এখন জমিতে হাইব্রিড জাতের বোরো ধান চাষাবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে বীজতলা তৈরির কাজ করছেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন রায় বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রত্যেক এলাকার কৃষক বীজতলা তৈরিতে সময় পর করছেন, নির্বিঘ্নে বোরো ধান উৎপাদন, ফসলের আবাদ বৃদ্ধি ও অনাবাদি পতিত জমিতে চাষাবাদ বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ে কৃষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মত বিনিময় ও পরামর্শ সভা করা হচ্ছে। মাঠ পর্যয়ে উপ- সহকারী কৃষি কর্মকতরা প্রান্তিক কৃষকদের সাথে বোরে ধানের বিজতলা তৈরি ও বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করছেন।