কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বলেছিলেন, ‘কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়। তা বলে কুকুরে কামড়ানো কিরে, মানুষের শোভা পায়?’ এই কবিতার মর্মার্থ বাঙালিরা ভালোভাবেই বোঝেন। তবে, চাইনিজরা তো আর বাংলা বোঝে না! তাই কামড়ের প্রতিশোধে ইঁদুর কামড়ে বসলেন এক চাইনিজ তরুণী।
এই উদ্ভট ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনা এই তরুণীর আঙ্গুলে একটি ইঁদুর কামড়ে দেয়। কামড়ানোর সময় ইঁদুরটি বোঝেনি, ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়! কারণ, ইঁদুরটিকে কামড় দিয়েই প্রতিশোধ নেন তরুণী।
ইঁদুরটিকে ধরতে ফাঁদ পাতেন তিনি। ধরা পড়ায় হাত দিয়ে শক্ত করে ধরেন ইঁদুরটিকে। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এর মাথায় কামড় দেয়। দুই দাঁতের চিহ্ন পড়ে যায় মাথায়। তৎক্ষণাৎ ইঁদুরটি মারা যায়। দৃঢ়ভাবে চেপে ধরার কারণেই দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। যুবতী নিজেও চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ইঁদুরের মাথায় দাঁত ঢুকে যাওয়ায় তার ঠোঁটে আঘাত লাগে। তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। এতে তিনি সুস্থ হতে শুরু করেন। তার সহপাঠীরা বলেছেন, এমন কাজের জন্য তরুণী লজ্জিত হয়েছিল। চিকিৎসার সময় সে মুখ খুলতেও লজ্জা পাচ্ছিলেন।
ডাক্তার নিজেও এরকম ঘটনায় হকচকিয়ে যান। তিনি বলেন, তিনি এরকম রোগী আগে কখনও দেখেননি। তার কেস ফাইল যেভাবে লেখবেন- তা নির্ধারণ করতে ডাক্তারের কিছুটা সময় লেগেছে।
তরুণীর উদ্ভট কাণ্ডে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা চমকে গেছে। তারা নানারকম হাস্যকর মন্তব্যও করেছে। তার সহপাঠীরা এই ধরনের ক্রিয়াকলাপ অনুকরণ করতে নিষেধ করেন। রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখ করে তারা সকলকে সতর্ক করে।
‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর মতে, ইঁদুর অনেক রোগ বহন করে। এই রোগগুলি সরাসরি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে। ইঁদুরের মল, প্রস্রাব, লালা বা ইঁদুরের কামড়ের মাধ্যমে এসব ছড়ায়। তাই, ইঁদুরের উপদ্রব রোধ এবং ইঁদুরের সংস্পর্শ এড়ানো উচিত।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি