বেহাল অবস্থায় রাজধানীর মোবাইল টয়লেট

বিবিধ, ফিচার

হাদিদ মো. জাবীর,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম | 2023-08-31 21:46:15

অব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে রাজধানী ঢাকার মোবাইল টয়লেট (ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার) প্রকল্প। রাজধানী ঢাকার ভাসমান মানুষ ও পথচারীদের জন্য শৌচাগার সুবিধা দিতে ওয়াটার এইডের আর্থিক সহযোগিতায় আরবান এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। শুরুতে ভাল সেবা মিললেও এখন নানা অব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে একসময়ে ব্যাপক সাড়া জাগানো এই প্রকল্পটি। অনেক টয়লেটেই পড়েছে তালা। বাকিগুলোর অবস্থাও বেহাল।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে সরেজমিনে দেখা মিলেছে এই চিত্র।

প্রকল্প শুরুতে রাজধানীর ৩৬ জায়গায় ৪৫ টি ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার স্থাপন করা হয়। বর্তমানে তার অধিকাংশই ব্যবহার অনুপযোগী।

কাঁটাবনের পাশেই দুটি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট। একটিতে তালা ঝুলছে, অপরটি ব্যবহার করছে সাধারণ লোকজন।

একজন ব্যবহারকারীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভেতরে একদম অপরিষ্কার, ময়লা জমে আছে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, বাধ্য হয়েই ব্যবহার করতে হচ্ছে, ব্যবহার করে টাকা তো দিচ্ছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ এই টাকা নিয়ে কি করছে?

আরেকজন জানালেন, একসময় ব্যবহার করা যেতো, কিন্তু এখন একদম ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, যদি পুরনো গুলো সরিয়ে নতুন টয়লেট স্থাপন করা হয় তাহলে পথচারীরা অনেক উপকৃত হবে।

রাজধানীর মতিঝিলে একই অবস্থা, অফিসগামী একজন জানালেন, ঢাকা শহরের অনেক জায়গায় মল, মূত্রের গন্ধের জন্য হাটা যায় না, কিন্তু এই প্রকল্প যদি ঠিকঠাক মত চলত তাহলে শহরের পরিবেশ অনেক ভাল থাকতো। পথচারীদেরও সুবিধা হতো।

ঢাকার মিরপুর, টেকনিক্যাল, মতিঝিল, আনসার ক্যাম্প সহ সব জায়গায় একই চিত্র দেখা গেছে। অত্র এলাকার স্থানীয়রা জানালেন, যারা টেককেয়ার করেন তারা এর রক্ষণাবেক্ষণে অনেক উদাসীন।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী এ্যাসোসিয়েশন ফর রিয়েলাইজেশন অফ বেসিক নিডস(আরবান) এর কো-অরডিনেটর শহিদুল্লাহ মজুমদার বার্তা২৪কে জানালেন, সারে চার বছর মেয়াদী মোবাইল টয়লেট প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে ২০১১ সালের নভেম্বরে যাত্রা শুরু করে। পরে ২০১২ সালে পূর্নাঙ্গ ভাবে ঢাকার ৩৬ জায়গায় ৪৬ টি মোবাইল টয়লেট বসানো হয়। সেই হিসেবে এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩০ শে জুন শেষ হয়ে যায়। পরে এই প্রকল্প থকে ওয়াটার এইড বের হয়ে যাওয়ায় এরপর নতুন করে তারা কোন ফান্ড পান নাই। যার কারণে তারা নিজস্ব উদ্যোগ এ প্রকল্পটি চালু রেখেছেন।

তিনি জানালেন, এসব দেখাশোনার দায়িত্বে যারা আছেন তারা অনেকেই দরিদ্র। ফলে অনেক সময় প্রকল্প থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে এর রক্ষণাবেক্ষণ করা অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রকল্পটি পুনরায় চালু করা যায় কিনা। সেই হিসেবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর