নারী মাকড়সা সাধারণত পুরুষদের থেকে আকারে বড় হয়। তাই সবচেয়ে বড় পুরুষ মাকড়সাও দেখা যায়, নারী মাকড়সার চেয়ে আকারে ছোটই হয়। তবে অস্ট্রেলিয়ার রেপ্টাইল পার্ক উদ্ধার করেছে, এক বিশাল আকারের পুরুষ মাকড়সা। যে সে নয়! জ্ঞানত বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত জাতের এই মাকড়সা। ‘সিডনি ফিউনেল-ওয়েব’ জাতের এই মাকড়সার নাম রাখা হয়েছে ‘হারকিউলিস’।
সেন্ট্রাল কোস্টে আগে এই মাকড়সা পাওয়া গিয়েছিল। সিডনি থেকে ৫০ মাইল উত্তরে এদের বাসস্থান। সেখান থেকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এদের পাঠানো হয়। তবে এখন অস্ট্রেলিয়ার রেপ্টাইল পার্কে এদের বিস্তার পাওয়া গেছে। সেখানে তারা অভয়ারণ্য তৈরি করে নিয়েছে।
পার্কের মাকড়সা বিশেষজ্ঞরা একে উদ্ধার করে। অস্ট্রেলিয়ার জনসাধারণের মতে, এটিই সবচেয়ে বড় আকারের পুরুষ মাকড়সার নমুনা। হারকিউলিসের দৈর্ঘ্য ৭.৯ সেন্টিমিটার (৩.১ ইঞ্চি)। এর আগে ২০১৮ পাওয়া ‘কোলোসাস’ নামক মাকড়সাকে সবচেয়ে বড় বলে বিবেচনা করা হতো।
সিডনি ফানেল-ওয়েব মাকড়সার শক্ত দাঁত (ফ্যাংস) রয়েছে। মানুষের নখ ভেদ করতে পারে এই ফ্যাং। এগুলো সাধারণত ১ থেকে ৫ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। যদিও এ জাতের নারীরা ততটা মারাত্মক নয়। সিডনির উত্তর উপকূলীয় শহর নিউক্যাসল এবং পশ্চিমে নীল পাহাড় পর্যন্ত এদের পাওয়া যায়। বনাঞ্চল এবং শহরের বাগানেও এদের বসবাস রয়েছে।
হারকিউলিস রেপ্টাইল পার্কের ‘অ্যান্টিভেনম প্রোগ্রাম’-এ অবদান রাখবে। সাধারণ মানুষ নিরাপদে মাকড়সাদের বন্দী করে। এরপর তারা পার্কে এদের হস্তান্তর করে। বিষ নিষ্কাশনে জীবন রক্ষাকারী অ্যান্টিভেনম তৈরিতে এদের কাজে লাগানো হয়।
অস্ট্রেলিয়ান রেপটাইল পার্কের মাকড়সা পালনকারী এমা টেনি। তিনি বলেন, 'পার্কে প্রায়ই বেশ বড় আকারের ফানেল-ওয়েব মাকড়সা দান করা হয়। তবে এর আগে এত বড় পুরুষ ফানেল-ওয়েব পাওয়া যায়নি। নারী ফানেল-ওয়েব মাকড়সা বিষাক্ত হলেও, পুরুষরা আরও প্রাণঘাতী হয়। এই পুরুষ মাকড়সা পাওয়ায় তাদের প্রোগ্রামের অনেকটা উপকার হয়েছে।'
তিনি আরও জানান, '১৯৮১ সালে প্রোগ্রামটি শুরু করা হয়। তব, এতদিনে অস্ট্রেলিয়ায় কোনো ফানেল-ওয়েব মাকড়সার কামড়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।'
তথ্যসূত্র: স্কাই নিউজ