গাইবান্ধা জেলা সদরের দক্ষিণ গিদারীর কালির বাজার এলাকায় মানস নদীর ওপর দিয়ে সাধারণ জনগণের চলাচলে একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। স্থানটিতে এক যুগ ধরে ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দুই পারের প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
বিগত ১২ বছর আগে নিজেরাই প্রায় ৫০ ফুট দৈর্ঘের বিকল্প বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করে যাতায়াত শুরু করেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ফলে দুই পারের ছেলে-মেয়েরা এই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে। তবে এমন ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে সন্তানদের চলাচলে অভিভাবকরা নানা উৎকণ্ঠা রয়েছেন।
বর্তমানে সে বাঁশের সাঁকোটিও ভেঙে গিয়ে মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এলাকার লোকজন বাধ্য হয়ে সাঁকোর নিচ দিয়ে যাতায়াত করছেন। শুষ্ক মৌসুমে সাঁকোর নিচ দিয়ে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে তা অসম্ভব বলে দাবি করেন এলাকার ভুক্তভোগীরা।
এলাকাবাসী অভিযোগ, গত এক যুগ ধরে জন প্রতিনিধিরা সাঁকো মেরামতের আশ্বাস দিয়ে ভোট নিলেও এখন পর্যন্ত সাঁকোটি নির্মাণে কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেননি। প্রতিবারই নিজেদের উদ্যোগেই বাঁশ ও সুপারি গাছ দিয়ে তৈরি সাঁকোটি মেরামত করতে হচ্ছে। কবে ব্রিজ হবে, তাও জানেন না কেউ।
স্থানীয় জোব্বার মিয়া বলেন, ‘এ এলাকার ১০ হাজার মানুষ ছাড়া বিভিন্ন এলাকার প্রায় আরও ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ এবং কয়েক হাজার যানবাহন এ সাঁকোটি দিয়ে যাতায়াত করে। এরপরও ওই স্থানটিতে কোনো ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। ফলে মানুষের দুর্ভোগ রয়েই গেছে।’
হালিমা বেগম নামের একজন বৃদ্ধা অভিযোগ করে বলেন, ‘ওপারে স্কুল-বাজার, জনবসতি সবই আছে। এপারেও স্কুল ও মানুষের বসতি রয়েছে। কাজের প্রয়োজনে দুই পারে মানুষই পারাপার হয় কিন্তু এখানে কোনো ব্রিজ হয়নি। চেয়ারম্যান আসে, চেয়ারম্যান যায়, কেউ আর ব্রিজ করে দেয় না। খালি ভোটের সময় ভোট নেয়।’
স্কুল শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘এক যুগ ধরে এ ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষ একটি ব্রিজের অভাবে দুর্ভোগে আছেন। এ নিয়ে এলাকার লোকজন বহুবার আন্দোলন ও মানববন্ধন পর্যন্ত করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেখানে কোনো ব্রিজ নির্মাণ হয়নি।’