বার বার ভুল ব্যবস্থাপনার দৃষ্টান্ত ইন্ডিগো এয়ারলাইনের

, ফিচার

ফিচার প্রতিবেদক, বার্তা২৪.কম | 2024-01-18 15:25:43

কম সময়ে দূর পাল্লার রাস্তা পাড়ি দেওয়ার একমাাত্র  উপায় হচ্ছে উড়োজাহাজ। ট্রেন বা বাসে যাত্রা করলে কয়েক ঘণ্টা করে সময় লেগে যায়। জলদি পৌঁছানোর জন্য বেশি টাকা গুণে হলেও টিকিট কাটে মানুষ। কিন্তু তাতেও যদি গন্তব্যে পৌঁছাতে অর্ধেক দিন পাড় হয়ে যায়; মানুষের রাগ তো উঠবেই!

ফ্লাইট ছাড়তে দেরী হওয়ায় পাইলটকে কষিয়ে চড় মারলেন এক যাত্রী। ঘটনাটি গত সপ্তাহে ভারতের রাজধানীতে ঘটেছে এই ঘটনা। সাহিল কাটারিয়া নামক এক ভারতীয় নাগরিক পাইলটের গায়ে হাত তোলেন। তার সাথেই বলতে থাকেন,‘প্লেন চালানোর হলে চালান, না চালানোর হলে না চালান। দরজা খুলুন।’ এরপর অন্য এক যাত্রী এসে তাদের ঝগড়া থামান।  

প্রায় ১৩ ঘণ্টা ফ্লাইট লেট হওয়ায় রাগান্বিত ছিলেন সাহিল। ভারতের বিখ্যাত ফ্লাইট এজেন্সি ‘ইন্ডিগো’-এর উড়োজাহাজে ঘটেছে এই ঘটনা। আক্রমণ করায় পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয় তাকে। কিছুক্ষণ বাদে অবশ্য জামিন দিয়ে দেওয়া হয়। তবে এমন আক্রমণাত্মক আচরণের কারণ পুলিশ জানতে চায়। তখন তিনি বলেন, হানিমুনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্লেনে চড়েছিলেন তিনি। দিল্লি থেকে গোয়া-গামী এই প্লেনে  ১৩ ঘণ্টা ধরে বসেছিলেন তারা। তাই তিনি ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। পাইলট কে সামনে পেয়ে অস্থির অবস্থায়ই চড় মেরে বসেন তিনি।

পাইলটকে চড় মারেন যাত্রী সাহিল

সাহিল আরও জানান, ফ্লাইট নাম্বার ৬ই২১৭৫ ছাড়ার সময় ছিল সকাল ৭ টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু কয়েক দফায় সময় পিছিয়ে সেটি বিকাল ৫টা ৩৫ মিনিটে টেইক অফ করে। তাদের বিকাল ৪ টায় সময় খাবার দেওয়া হয়। সারাদিন ১৮৬ জন যাত্রী না খেয়ে কাটিয়েছিল। এতেই তাদের পেশাদারিত্ব এবং ব্যবস্থাপনার ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়।

সম্প্রতি আবার আরেক অভিযোগ এসেছে উড়োজাহাজ কোম্পানি ইন্ডিগোর নামে। ‘ফ্লাইট লেট হওয়ায় রানওয়েতে বসে সকল যাত্রী খাবার খাচ্ছে’-এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গোয়া থেকে দিল্লিগামী এই উড়োজাহাজকে মুম্বাই নিয়ে যাওয়া হয়। এতে উড়োজাহজ এজেন্সি ইন্ডিগোর সেবাপ্রদানের ব্যাপারে সবাই প্রশ্ন করছে। আইনগতভাবে ‘মিনিস্ট্রি অফ সিভিল এভিয়েশন’ কর্তৃক তাদের শো-কজ করা হয়েছে। কি এমন কারণ ছিল, যে উড়োজাহাজের বাইরে এভাবে বসে খেতে হচ্ছে!   

ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ বলেছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই বৈরী আবহাওয়া চলছে। ঘন কুয়াশার কারণে কিছুই স্পষ্ট দেখা যায়না । এই অবস্থায় প্লেন চালালে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই তারা প্লেন স্থগিত রেখেছিল। যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই তাদের প্রাধান্য। তাই, তারা ঝুঁকি নিতে চায়নি।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

এ সম্পর্কিত আরও খবর