নিজেকে মনে করতে অনেক বেশি কুৎসিত। সেই নিয়েই একটি ভিডিও বানিয়েছিলেন কয়েক বছর আগে। শিরোনাম ছিল, ‘বিয়িং আগলি: মাই এক্সপেরিয়েন্স” (আমার কুৎসিত হওয়ার অভিজ্ঞতা)। ইউটিউবে পোস্ট করেন ভিডিওটি। সেই ভিডিও অনেক বেশি ভাইরাল হয় অনলাইনে। হাজার হাজার কমেন্টের ভিড়ে একজন মেয়েও কমেন্ট করে। ‘আমার কাছে আপনাকে অনেক আকর্ষণীয় মনে হয়। মজা করছি না, মন থেকে বলছি।’ শুধুমাত্র একটি কমেন্ট। তাতেই বদলাতে যাচ্ছিল দু’টো জীবন।
‘নেভার গিভ আপ‘, নামক ইউটিউব চ্যানেলের মালিক সুইডেনের ডেস্ট্রু। এতক্ষণ বলা এই গল্প, তারই বাস্তবজীবন। প্রচলিত সমাজের দৃষ্টিতে কুৎসিত তিনি। ছোটবেলা থেকেই অপমান এবং বুলির শিকার হতেন। ২০১৮ সালে সেই সম্পর্কিত একটি ভিডিও বানান তিনি। সেটি আপলোডও করেছিলেন ইউটিউবে। অনেক ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই কমেন্ট করেন। জুলি রোমিনা নামের এক যুবতী, তাকে আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করে। তার কুৎসিত না হওয়ার মন্তব্য করে, তাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন।
জুলি নেহাত সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন না। তিনি যে সত্যিই বলেছিলেন, তার প্রমাণ মিললো কিছুদিন পর। কমেন্ট করার পর থেকেই তাদের মধ্যে কথোপকথন শুরু হয়। তারা একে অপরের সাথে দেখা করেন। দু’জনের দু’জনকে ভালোও লাগে। তখন থেকেই প্রেমের সম্পর্কে জরিয়ে যান।
সম্প্রতি তাদের সম্পর্ক আরেক ধাপ এগিয়েছে। তারা দু’জন বিয়ে করেছেন। তাদের ভক্তরা এমন বিরল প্রেম কাহিনীতে মুগ্ধ হচ্ছেন। অনেকেই তাদের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন। তবে বিশেষ ভাবে অভিনন্দন জানায় ইউটিউব।
সদ্য বিবাাহতা স্ত্রীর সাথে ‘মাই ওয়াইফ’ শিরোনামে একটি ভিডিও দিয়েছেন তিনি। সেখানে ইউটিউবের অফিশিয়াল পেইজ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। তাদের দু’জনের সুন্দর ভবিষৎ এবং সুখী জীবনের প্রার্থনা করা হয়।
বাহ্যিক সৌন্দর্য্যকে এখনো অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রচলিত ‘বিউটি স্ট্যান্ডার্ড’ অনেকের দুঃখের কারণ তৈরি করে। সেই সময়ে এরকম ভালোবাসার দৃষ্টান্ত সকলের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। অনেকেই মন্তব্য করেছে, অবশেষে প্রচলিত প্রথা ভেঙ্গেছে ডেস্ট্রু। যেকোনো কেউই চাইলে পারে, অযাচিত এই জাল ছিঁড়ে বের হয়ে আসতে।
তথ্যসূত্র: ইউনিল্যাড