ট্রাভেলিং টিকেট এক্সামিনার(টিটিই)-কে রাখা হয় ট্রেনযাত্রীদের সুবিধার্থে। যাত্রীদের কোনো সমস্যা হলে তা সমাধান করেন। টিটিই-র মূল কাজ, সকলে টিকিট কেটে উঠেছে কিনা তা যাচাই করা। যদি কোনো গণ্ডগোল থাকে, তাহলে তার দেখভাল করেন টিটিই। কেউ টিকিট না কেটে উঠলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সাধারণত ফাইন দিয়েই মাশুল গুনতে হয় যাত্রীকে।
কিন্তু এবার ভারতীয় রেললাইনের কর্মরত এক টিটিই-র গাফিলতি ভাইরাল হচ্ছে। সূত্রমতে, তার নাম প্রকাশ। টিকিট না কেটে ট্রেনে ওঠায়, যাত্রীকে অনবরত মারতে থাকে সে। যাত্রীর কোনো কথা না শুনেই, হয়রানি করে। প্রথমে সে জোরে জোরে চড় মারতে থাকে। এরপর ঘাড়ে ধরে টেনে তোলার চেষ্টা করে। এই পর্যায়ে সে বুঝতে পারে, কেউ তার ভিডিও করছে। এতে ভিডিওকারী যাত্রীর উপরেও হামলে পড়ে প্রকাশ নামক সেই টিটিই। অন্য এক যাত্রী পেছন থেকে এই ঘটনার ভিডিও করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হচ্ছে ভাইরাল। বারাউনি থেকে লক্ষ্ণৌগামী এক রেলগাড়িতে ঘটেছে এই ঘটনা।
টিটিই প্রকাশের এইরকম আক্রমণাত্মক আচরণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে হইচই পড়ে যায়। সকলে ওই টিটিই-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবীতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। এতে টনক নড়ে ওঠে ইন্ডিয়ান রেইলওয়ে মিনিস্ট্রির। ভারতের রেলমন্ত্রীও এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। অতিসত্তর পদক্ষেপ নেওয়া হয় তার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ‘টিটিই’ পদ থেকে বরখাস্ত করা হয় প্রকাশকে।
রেইলওয়ে মিনিস্টার অস্বিনি বৈষ্ণ মতামত দিয়েছেন, এরকম আচরণ বিন্দুমাত্র সহ্য করা হবেনা। রাজ্যসভার এমপি স্বাতি মালিওয়ালও তার সমর্থন করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স(টুইটার)-এ তিনি এর প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট করেন। সাধারণ জনতার প্রতি তার উদ্বেগও প্রকাশ করেন। লক্ষ্ণৌ ডিভিশন রেইলওয়ে ম্যানেজারও এই ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন। টিটিই-র বহিষ্কার নিশ্চিত করেছেন তিনি। তবে এরপরও কিছু সাধারণ মানুষজন প্রকাশকে জেলে পাঠানেনার দাবী জানাচ্ছে।
তথ্যসূত্র: আউটলুক ইন্ডিয়া