'প্রতি শীতে আমাদের এলাকায় এই পাখিগুলো আসে। এগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। এগুলো আমাদের এলাকার একটি আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই আসে এগুলো মারতে কিন্তু আমরা এগুলোকে মারতে দেই না। পাখিগুলোর নাম পানকৌড়ি। দেখতে অসাধারণ একটি পাখি।'
শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) রানীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের কেউটন গ্রামের বাসিন্দারা এভাবেই পাখিদের প্রতি ভালোবাসা রেখে তাদের কথাগুলো জানান।
যানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই এই উপজেলা হোসেনগাঁও ইউনিয়নের কেউটন গ্রামে আসে এক ঝাঁক পানকৌড়ি পাখি। রাস্তার পাড়ে মাথা উঁচু করে তাকালেই দেখা যায় হাজারো পাখির মিলনমেলা। গাছটিতে নেই কোন পাতার দেখা। প্রতিটি ডালে যেন শুধু পাখিদেরই মিলছে দেখা।
এই পাখিগুলো তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে এই বড় শিমুল গাছটিকেই। যেন একটি শিমুল গাছ এই পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাদের ডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে এই কেউটন গ্রাম।
সেই গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন, নিরমল চন্দ্র সহ আরও কয়েকজন জানান, প্রতিদিন সকালে খাবারের খোঁজে বের হয় এই পাখিগুলো। আবার সন্ধ্যা হলেই চলে আসে গাছটিতে। তবে সেই সময়ই গাছটি দেখার মতো হয়ে উঠে। একসাথে হাজারো পাখি। এগুলো দেখতে অনেকেই আসেন।
গাছটির মালিক দর্শন চন্দ্র রায় জানান, গাছটি আমার দাদার আমলের। প্রতিবারেই শীতে এই গাছে পাখিগুলো আসে। তাই পাখিগুলোকে কাউকে মারতে দেইনা। তবে অনেকে আসে এগুলো শিকার করতে। এটা তো ঠিক না। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব যাতে করে কেউ যেন এগুলো মারতে না পারে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, শুনেছি পাখিগুলো সেখানে প্রতিবারই আসে। আমার মতে পাখি তো আমাদের এই পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখে। তাহলে মানুষ তাদের শিকার করবে কেন। পাখি শিকার করা অপরাধ। যারা এটার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।