বরগুনা শহর থেকে মাত্র চার-পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কালিরতবক গ্রাম। এ গ্রামের সফল এক কৃষক দম্পতি আঃ মন্নান ও রাফেজা। ৮০ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন জাতের বরই বাগান করে এক বছরেই সাফল্য পেয়েছেন তারা।
এ কৃষক দম্পতি জানান, মাত্র ২৫-৩০ হাজার টাকা ব্যয় করে তারা বরই বাগান শুরু করেন। তাদের বাগানে ফল ধরা বরই গাছের সংখ্যা এখন প্রায় চারশত। এরই মধ্যে লাখ টাকার বল সুন্দরি আর ভারত সুন্দরী জাতের বরই বিক্রিও করেছেন তারা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে তাদের বাগানের বরই রপ্তানি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। বর্তমানে বাগানে যে বরই আছে তাতে তিন থেকে চার লাখ টাকা বিক্রি হবে এমনটাই আশা করেছেন কৃষক আঃ মান্নান।
জানা যায়, বরই ছাড়াও আঃ মন্নান, তার স্ত্রী ও দুই ছেলে মিলে গত দুই বছর ধরে মাচায় তরমুজ চাষ করে আসছেন এবং সাফল্য পেয়েছেন। বর্তমানে বরই বাগানের পাশাপাশি সেখানে দুইটি মাছের ঘের করে চাষ করেছেন পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া মাছ।
বরই কিনতে আসা সোহাগ হাওলাদার বলেন, ‘এ উপজেলাতে বেশ কয়েকটি বরই বাগান থাকলেও স্বযত্নে পরিচর্যা ও নিরাপত্তা সম্পন্ন তেমন কোনো বাগান কোথাও নজরে পড়েনি। বরইগুলোও খেতেও দারুণ মিষ্টি। অন্যরাও যদি এমন উদ্যোগ নেয় তাহলে এ জেলা কৃষিক্ষেত্রে আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে।’
কৃষক আঃ মন্নান বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বাগানের ৮০ শতাংশ জমিতে চারশত বরই গাছ রয়েছে। প্রথম বছরের তুলনায় ফলন অনেক ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় এক লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছি। প্রতি কেজি বরই পাইকারি সত্তর টাকা এবং খুচরা আশি টাকা করে বিক্রি করি। গাছগুলোতে যে পরিমাণ ফলন রয়েছে তাতে শেষ পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড. আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন, ‘কৃষি বিভাগের সহায়তা ও পরামর্শে বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় কম খরচে ভালো ফলনের মাধ্যমে লাভবান হওয়ায় বরই বাগান করার আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। সঠিক পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে আমরা কৃষকদের পাশে আছি।’