রেললাইনের উপর বসেছে চুলা। চড়েছে ভাত। অস্থায়ী চুলায় ফুটন্ত তরকারি রান্না হচ্ছে। একপাশে ছোট মেয়েরা পড়তে বসেছে। শিশুদের মধ্যে কেউ কেউ আবার দৌড়াদৌড়ি করছে বা খেলছে! অনেকে সারি বেঁধে শীতে কাথামুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। এভাবেই কাটছে দিন। কিছু মানুষকে এভাবে বাস করতে দেখে, মুখ হা হয়ে গেছে সবার। সাধারণ জনগণকে হতবাক করে দিয়ে এইভাবেই রেললাইনের উপর সংসার পাতা হয়েছে।
একটু মাথা গোজার ঠাঁইয়ের জন্য মানুষ হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ায়। প্রাচীনকালে মানুষ যাযাবর জীবন যাপন করতো। সময়ের সাথে সাথে বসতি স্থাপন করে সামাজিক হয়েছে মানবজাতি। যাদের থাকার জায়গা নেই, তারা বস্তিতে একটু খানি স্বস্তি খুঁজে বেড়ায়।
তবে এই অভাগাদের ভাগ্যে সেটুকুও নেই। তাই বেঁচে থাকার জন্য এমন ঝুঁকি নিতেও পিছ-পা হয়নি। দুইপাশে রেল যাওয়ার পাত বিছানো। তার মাঝে যে অল্প হাঁটার জায়গা যেখানেই শেষ সম্বলটুকু বিছিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে এসব মানুষ। যেকোনো মুহুর্তে মৃত্যু হতে পারে জেনেও দিন পার করে যাচ্ছে।
এই ঘটনা ভারতের মুম্বাইয়ের। মহীম জংশন থেকে ধারণ করা হয়েছে এই দৃশ্য। এই মাসের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স(টুইটার)-এ আপলোড করা হয় ভিডিওটি। মুহূর্তেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। তাদের এই জীবন যাপনের ধরণে সভ্য সমাজ হতবাক!
অনেকেই নানারকম মন্তব্য করছে। অনেকেই বাস্তুহারা মানুষদের জন্য চিন্তা প্রকাশ করেছে। তাদের কোনো নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার কথা বলছে। কেউ কৌতুক করে বলছে, আসলেই তাদের জীবন ‘লাইন’এ চলছে। তারা মুম্বাইয়ের রেইললাইন কর্তৃপক্ষকে মেনশনও করে। কর্তৃপক্ষ এর উত্তরও দেয়। তারা জানায়, খুব শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি