২৬ বছর বয়েসি সুন্দরী নাতাশা বেরেস্ফোর্ড। বিশ্বের প্রথম মেকাপ মুক্ত সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ী তিনি। ১৮ জন বাঘা বাঘা সুন্দরীদের টপকে বিজয়ী হয়েছিলেন নাতাশা। গত ৯৫ বছরে যুক্তরাজ্যে এই প্রথম তিনিই মেক-আপ ছাড়া সুন্দরী হওয়ার খেতাব জিতেছেন।
২০২৩ সালে মিস লন্ডন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন বেরেস্ফোর্ড। অংশগ্রহণকারী সবাইকে মেক-আপ ছাড়া সাধারণ মুখে ছবি দিতে বলা হয়েছিল। কোনো প্রতিযোগী ঠোঁটে লিপগ্লস অবধি ব্যবহার করেননি। সেই প্রতিযোগিতায় নিজের অসামান্য সৌন্দর্য দিয়ে বিচারকদের মন জয় করে নেন তিনি।
চলতি বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে মিস ইংল্যান্ড প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল তার। কর্তৃপক্ষের মতে, তার জেতার সম্ভাবনাও ছিল অনেক বেশি! কিন্তু তিনি নিজেই এই সুযোগ ছেড়ে দিলেন। সেই একই সপ্তাহে বিয়ে করতে যাচ্ছে নাতাশার সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবী। বান্ধবীর বিয়ের তুলনায় প্রতিযোগিতা কিছু্ই নয়। বান্ধবীর বিয়ে বড় নাতাশার কাছে। একসাথে দুটো স্থানে অংশগ্রহণ করা অসম্ভব! এই নিয়ে অনেক হতাশ ছিলেন এই সুন্দরী।
নাতাশা জানিয়েছেন, তিনি বান্ধবীকে অনেক আগেই কথা দিয়ে রেখেছেন। মিস ইংল্যান্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারলে তিনি নিজেও গর্ববোধ করতেন কিন্তু বান্ধবীর বিয়ের ব্রাইডমেড হওয়ার সুযোগ তিনি কিছুতেই হাতছাড়া করতে চান না। তাই, এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন নাতাশা।
তার পরিবর্তে এখন প্রতিযোগিতায় যাচ্ছেন, টেমি আদেয়েমে। তিনি মিস লন্ডন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। লন্ডনের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে তিনি অনেক আনন্দিত এবং উত্তেজিত।
পেশায় নাতাশা একজন দন্ত্য সেবিকা। সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে তার ভবিষত বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে শেফিল্ডের এই সুন্দরী জানিয়েছেন, ভবিষতে তিনি নিজের পেশাতেই বহাল থাকতে চান। সেবিকার পেশাকেই তিনি অনেক বেশি সম্ভাবনাময় মনে করেন। ভবিষতে ডেন্টাল রেডিওগ্রাফি এবং ওরাল হেলথ এডুকেশনে আরো প্রশিক্ষণ নিতে চান নাতাশা।
তথ্যসূত্র: মেইল অনলাইন