বনের মধ্যে খেলতে খেলতে কাঁদায় পরে গেল এক হাতি শাবক। বার বার বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে। কাঁদায় নাকানি চুবানি খেয়ে দিশেহারা অবস্থা যখন, তখনই ফেরেশতার মতো উদয় হলো তার পরিবার।
‘অ্যাডো এলিফ্যান্ট ন্যাশনাল পার্ক’ থেকে এই ঐরাবত পরিবারের একতার দৃশ্য ধারণ করা হয়। জোলান্ডি ডি ক্লার্ক নামের নারী এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। নিজের স্বামীর সাথে মধুচন্দ্রিমা পালন করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় এই মধুর পারিবারিক মুহূর্ত তাদের নজরে পড়ে। সেই ঘটনার ভিডিওধারণ করেন জোলান্ডি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেটি ছড়িয়ে যায় এবং অনেক দর্শকের নজরও কাড়ে।
জোলান্ডি বর্ণনা করেন, তারা দক্ষিণের ম্যাথিওলওয়েনি দ্বার দিয়ে প্রবেশ করেন। পার্কে প্রথমবার ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন তারা। তাই সোজা হাতিদের মূল বসবাসকারী স্থানের দিকে যাত্রা করে। সেখানে তারা বড় একটি পাল দেখতে পায়। ছোট-বড়, অনেক হাতি একসাথে কাঁদাভর্তি পানিতে সময় কাটাচ্ছিল।
তাদের নজরে পড়ে সবচেয়ে ছোট হাতিটি। সেও বড়দের সাথে খেলার চেষ্টা করছিল। তাদের ফাঁক ফোকড় দিয়ে শুঁড় দিয়ে পানি তোলার চেষ্টা করছিল। কিন্তু আকারে ছোট হওয়ায় তাকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। দুর্ভাগ্যবশত সে খুবই পিচ্ছিল জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল।
হঠাৎ করে বাচ্চা হাতিটি কাঁদামাটিতে পড়ে যায়! চোখের পলকে সে উধাও হয়ে গেল। কাঁদার মধ্যে এমন ভাবে আটকা পড়ে যায় যে কিছুতেই বের হয়ে আসতে পারছিল না। মুহূর্তেই পশুর পালের মধ্যে আতঙ্কের ছায়া দেখা যায়।
শাবককে সাহায্য করতে একে একে এগিয়ে আসে পরিবারের সকলে। জলাশয়ের কাছাকাছি থাকা হাতিরা তাদের শুঁড় এগিয়ে দেয়। তবে বাচ্চাটি অনেক দুর্বল আর ছোট ছিল। তাই কারো শুঁড় ভালোভাবে ধরতে পারেনি। অবশেষে বড় হাতিরা পানিতে নেমেই তাকে উঠতে সাহায্য করে। পেছন থেকে ঢেলে তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর হাতিপাল এবং দর্শক, সকলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি