২০২২ সালের শেষ দিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘চ্যাট-জিপিটি’ প্রকাশ করা হয়। বছরখানেক পর, চ্যাট জিপিটির দেওয়া উপদেশ অনুযায়ী নারীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এভাবেই জীবনসঙ্গী পেলেন ২৩ বছর বয়েসি এক রাশিয়ান যুবক।
সফটওয়্যার ডেভেলপার আলেকজান্ডার জাদান রাশিয়ার বাসিন্দা। তিনি ডেটিং ওয়েবসাইট টিন্ডারে জীবনসঙ্গী খুঁজছিলেন অনেকদিন ধরেই। একবছরে ৫ হাজারের বেশি নারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কিন্তু কারো সঙ্গেই বেশিদূর আগাচ্ছিল না সম্পর্কটা।
অবশেষে জাদান চ্যাট জিপিটির মাধ্যমে সন্ধান করার চেষ্টা করতে থাকেন। তিনি যেমনভাবে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পছন্দ করেন তার বর্ণনা দেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে। পাশাপাশি যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে, তার ট্রেনিংও দেন। এরপর চ্যাট-জিপিটি প্রথমেই তার পছন্দের ভিত্তিতে যাদের সঙ্গে ভালো ম্যাচ হবে না, তাদের সরিয়ে দেয়।
তারপর কিছু মেয়েদের সাথে জাদানের হয়ে কথা বলে এআই। তার কথা বলার পদ্ধতি অনুসরণ করেছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ২০২৩ সালের শেষে জাদানকে কারিনার কথা বলে। কারিনা ইমরানোভনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার কথা বলে চ্যাট-জিপিটি। কৃত্রিম এই বুদ্ধিমত্তার মতে, জাদান এবং কারিনার সম্পর্ক সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। তাদের সম্পর্কে ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব। রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যম আরআইএ নভোস্তিকে জাদান জানান, এভাবেই তিনি তার স্ত্রীকে খুঁজে পেয়েছেন।
মনের মতো সঙ্গী খুঁজে পেতে, চ্যাট-জিপিটি জাদানের ক্ষেত্রে আশীর্বাদ স্বরূপ কাজ করেছে। যদিও তার স্ত্রী প্রথমে কিছুই জানতেন না। পরে জাদান স্ত্রী কারিনাকে সবটা খুলে বলেন, যেভাবে চ্যাট জিপিটি তার হয়ে কথা বলতো। শোনার পর কারিনার প্রতিক্রিয়া অবশ্য স্বাভাবিকই ছিল। জাদান এটাও বলেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে যোগ্য জীবনসঙ্গী খোঁজার প্রোগ্রাম করা সম্ভব। এর জন্য শুধু এর কলাকৌশল বুঝতে হবে এবং সেইসঙ্গে কিছু ফিচার যুক্ত করতে হবে।
তথ্যসূত্র:এনডিটিভি