ঢাকা জেলার কৃষি অধ্যুষিত নবাবগঞ্জ উপজেলায় চলমান কৃষি মৌসুমে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ যেন হলুদ সরষে ফুলের বাগান। দেখে মনে হয় কেউ যেন সবুজ ফসলের মাঠে হলুদ চাদর বিছিয়ে রেখেছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কাঁচা ও পাকা রাস্তার দু'পাশের অসংখ্য সরিষা ক্ষেত। শীতের সকালে শিশিরে ভেজা মাঠে সরিষা ফুলের হলুদ ফুলগুলোর মায়াবী সুগন্ধে প্রাণ জুড়িয়ে যায় পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। আর চোখ ধাঁধানো রূপ মন কেড়ে নেয় পথিকের।
নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, নবাবগঞ্জে এবার বেশ ভাল সরিষা ফলন হয়েছে। বেশিরভাগ জমিতে চাষ হয়েছে উন্নত ফলন জাতের সরিষা। উর্বর জমি ও সল্প খরচের কারণে উপজেলার বেশিরভাগ কৃষক পরিবার সরিষার চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। এ বছর অধিকাংশ কৃষক সরিষা চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যাশা করছেন।
চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরিষার চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আগলা টিকরপুর, কান্দামাত্রা, পাড়াগ্রাম, কৈলাইল, মালিকান্দা, দৌলতপুর চকসিংজোর, পাতিলঝাপ, দত্তখণ্ড এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষার চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখাযায়, উপজেলার অধিকাংশ সবুজ ফসলের মাঠে এখন হলুদ ফুলে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহের জন্য গুণগুণ করছে। ওইসব জমিতে সবুজ সরিষা গাছগুলো হলুদ ফুলে ফুলে ভরে ওঠায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
কান্দামাত্রা গ্রামের অধিবাসী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত সফল কৃষাণী মায়ারাণী বাউল বলেন, এবারও তিনি ৭ বিঘা জমিতে টরি-১ বারিসরিষা ও রাইসরিষা জাতের সরিষা চাষ করেছেন। তার জমিতে যেভাবে সরিষা গাছগুলো লকলকিয়ে বেড়ে উঠেছে এবং হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে তাতে তিনি ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল আমীন ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে প্রতিকূল আবহাওয়া থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। এ উপজেলায় সরিষার যে পরিমাণ আবাদ হয়েছে এতে কৃষক যথেষ্ট লাভবান হবেন।