সমুদ্রের পাড়ে একটি বাড়ি। প্রকৃতি প্রেমী এবং শৌখিন মানুষদের জন্য যেন স্বপ্নের চেয়ে কম কিছু নয়! লাক্সারিয়াস লিভিং রুম। বিশাল বড় বারান্দা, যা সমুদ্রের গল্প বাতাসে ভাসিয়ে নিয়ে আসে। সান লাউঞ্জার, আউটডোর লাউঞ্জ এলাকা, ফায়ার পিট, নিজস্ব বার- এমন কিছু নেই, যা এই বাড়িতে নেই! বাথটাবে গোসল করতে করতে মনোরম প্রকৃতিক সৌন্দর্য্য আর সাথে নীল জলের সুইমিংপুল। যেন এক স্বপ্নের বাড়ি!
তবে আশ্চর্যজনকভাবে, বাড়িটি মূলত কোনো বাড়ি নয়। নেই সিমেন্টের প্রলেপ বা ইট-রডের গাঁথুনি। রাশিয়ান যুবক ফেলিক্স ডেমিনের উদ্যোগে শুভ্রতায় সেজে উঠছে তার বাড়ি, ‘প্রাইভেট জেট ভিলা!’
শুনে কানখাড়া হয়ে যাওয়ার মতো হলেও, বাস্তবেই সুন্দর করে বাড়িটি সাজিয়েছেন ফেলিক্স। আর তাও কিনা একটি উড়োজাহাজের মধ্যে।
বিশাল পরিত্যাক্ত বিমান। বাইরে থেকে দেখে মনে হবে, একটা জায়গায় কেবল পড়ে আছে একটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ। কিন্তু চাপা ছাইয়ের নিচে যে অমূল্য রতন লুকিয়ে আছে তা কাছে না গেলে দেখা যাবে না!
একটি ভিডিও-র মাধ্যমে নিজের বাড়িটি পুরো ঘুরে দেখিয়েছেন ফেলিক্স। শুরুতেই তিনি বাড়ির বাইরে থেকে সিঁড়ি বেয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর লিভিং রুমটি ঘুরিয়ে দেখান। প্লেনের একটি পাখার উপর তৈরি করা হয়েছে বেলকনি। চারপাশে স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে ছাদের মতো করে বেলকনিটি ঘেরাও করা হয়েছে। সেখান থেকে সমুদ্রের দমকা বাতাস অনবরত পরিবেশ শীতল করে রাখে।
এরপর একে একে রান্নাঘর, ওয়্যারড্রব, বাথরুম ঘুরিয়ে দেখান ফেলিক্স। তারপর তিনি দেখান তার শোবার ঘর। মূলত ককপিটের স্থানকেই বেডরুমে পরিণত করেছেন সৃজনশীল চিন্তাধারী এই ব্যক্তি। সেখানে আছে একটি বাথটাবও। বসে বসে সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করে সময় কাটানোর দারুণ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরকম চমৎকার উদ্যোগের জন্য প্রশংসা করেছে সকলে। এই বিলাসী ভিলাটি ভ্রমণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। আগ্রহীদের জন্য ভিলাটি ভাড়াও দেন ফিলিক্স। ভ্রমণ করতে চাইলে প্রিয়জনকে নিয়ে চলে যান ইন্দোনেশিয়ার বালিতে নায়াং নায়াং ক্লিফে।