কোনটা পাখি, কোনটা বই! শাকসবজি, ছবি-নবকজাতকদের বুদ্ধিমত্তায় এসব চিহ্নিত করা দুষ্কর ব্যাপার। সাধারণত দেড়-দু’বছর বয়েসে শিশুরা এসব আলাদা করতে শুরু করে।
মাত্র ৪ মাস বয়স। এসময় শিশুরা সাধারণত বুকের ওপর ভর দেওয়া শিখতে শুরু করে। শারীরিক অসুবিধা হলে কান্না করা ছাড়া আর বিশেষ কোনো ভাব প্রকাশ করতে সামর্থ্য হওয়ার কথা নয়! প্রতিদিন দেখা পারিবারিক সদস্যদের চিনতেও অনেক শিশু হিমশিম খায়। সেই বয়সেইসর্বোচ্চ জিনিস চিহ্নিত করতে পারার বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করা, যেন অবিশ্বাস্য ব্যাপার!
২-৪ টি নয়, পুরো ১২০টির বেশি চিহ্নিত করে নোবেল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেসের সনদ অর্জন করেছে ৪ মাস বয়সী শিশু। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের নাদিগামা শহরে জন্ম হয়েছিল সেই শিশুর। তার নাম কৈবল্য। তার মা হেমার নজরেই প্রথম মেয়ের প্রতিভা ধরা পড়ে এবং তিনি তা প্রকাশ্যে আনার সিদ্ধান্ত নেন।
একটি ভিডিওতে শিশু কন্যার বিভিন্ন বস্তু চিনতে পারার একটি ভিডিও করে তিনি কর্তৃপক্ষকে পাঠায়। যা দেখে নোবেল ওয়ার্ল্ড রেকর্ড দলের সকল অবাক হয়ে যায়। তারপর তারা শিশু কৈবল্যের প্রতিভা পরীক্ষা করে এবং তাকে যোগ্য মনে করে স্বীকৃতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।
কৈবল্যের বাবা মা এতে অনেক বেশি আনন্দিত। মেয়ের জন্য তারা সকলের কাছে আশির্বাদ প্রার্থনা করেন। সকলের ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে