নতুন জাতের বেগুনি রঙয়ের ধান চাষে এবার চমক দেখাতে চায় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কৃষক। গত বছর জেলার সুন্দরগঞ্জে বেগুনি রঙয়ের এ ধান পরীক্ষামূলক চাষ করায় এক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। ধানক্ষেতের ফুলেল শোভাবর্ধনে নজর কেড়েছিল এলাকাবাসীর। দেখতে যেমন সৌন্দর্যময়, ফলনও তেমনি আশানুরূপ।
গত বছরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষাণী দুলালী বেগমের বেগুনি রঙয়ের ধানক্ষেত নিয়ে শুরু হয়েছিল নানা হইচই। ব্যপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল এ জাতের ধানক্ষেত নিয়ে। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে সুন্দরগঞ্জের পাশাপাশি এবার এই প্রথম সাদুল্লাপুর উপজেলায় বেশ কিছু কৃষক বেগুনি রঙয়ের ধান চাষে ঝুঁকেছেন। ইতোমধ্যেই কৃষকরা এই জাতের চারা রোপণ শুরু করেছেন।
সম্প্রতি সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপ্রু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাব্বী আব্দুল্যা, চকনদী গ্রামের কৃষক শুটকু মিয়া ও তরফ পাহাড়ি গ্রামের শাকিল মিয়া বেগুনি রঙয়ের ধানচারা রোপণ কাজ শুরু করেছেন। এবার তারা পরীক্ষামূলক এক একর জমিতে বেগুনি রঙয়ের ধান চারা লাগাবেন।
কৃষক শুটকু মিয়া ও শাকিল মিয়া জানান, এই ধানের চারা সংগ্রহের জন্য কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এর পর তার সহযোগিতায় ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নতুন জাতের এ ধান চাষ করা হচ্ছে।
তানজিমুল হাসান বলেন, ‘ধান গাছটি দেখতে পুরোপুরিই বেগুনি রঙয়ের। শীষটি সাধারণ উফশী ধানের মতোই। গড়ে প্রতি গোছাতে ২৫টি কুশি হয়, যেখানে পাশ্ববর্তী উফশী ক্ষেতে গড়ে ২১টি গোছা রয়েছে। কুশির সংখ্যা যেহেতু তুলনামূলক বেশি সে কারণে ফলন বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। এ জাতের জীবনকাল অন্যান্য উফশী ধানের মতোই ১৪০ দিন। বিঘা প্রতি ২৫ মণ ফলন আসার সম্ভবনা রয়েছে।’