রং বেরঙের ঘুড়ি উড়িয়ে ও ঢাক বাজিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হলো পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন ও পৌষ সংক্রান্তি উৎসব।
এ উপলক্ষে 'দিলমে ঢাকা হামোকা ঢাকা' (হৃদয়ে ঢাকা আমাদের ঢাকা) স্লোগানকে সামনে রেখে এক ঘুড়ি র্যালির আয়োজন করেছে ঢাকাবাসী সংগঠন ও বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) বিকাল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ঘুড়ি র্যালির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।
আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, 'আমি ঢাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই যারা বাঙালির অন্যতম প্রধান উৎসব ঘুড়ি উড়ানোকে ঐতিহ্য হিসেবে ধরে রেখেছে। আমাদের পুরনো ঐতিহ্যকে তারা ভুলে যায়নি, ধরে রেখেছে। এখানে বসে বসে আমার মনে পড়ছিলো শৈশবের ঘুড়ি উড়ানোর কথা। সাদা কাগজ ও লেখা কাগজ দিয়ে লাল পাহাড়, নীল পাহাড়, ড্রাগন বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি বানাতাম। ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতা করতাম। অনেক দিন পর ঘুড়ি উৎসবে এসে অনেক ভালো লাগলো।'
ঢাকাবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমি আশা করি, আমাদের কৃষ্টি ও সভ্যতাকে ঢাকাবাসী আরও যত্ন করে ধরে রাখবে। তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে তরুণদের নিয়ে আমরা ঘুড়ি উৎসব উদযাপন করতে পারব।'
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডেভটেক এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ও উদ্ভিদ প্রযুক্তিবিদ ড. ফেরদৌসী বেগম বলেন, 'ঢাকার জামদানী, ঢাকার বাখড় খানি, সাকরাইন, পিঠা উৎসব এগুলো আমাদের ঐতিহ্য। আমরা যে যে জেলা থেকেই আসি না কেন এগলো ভুললে চলবে না। প্রত্যেকটি জায়গারই আলাদা আলাদা ঐতিহ্য আছে। সেগুলো আমাদের ধরে রাখতে হবে।'
ঢাকাবাসী সংগঠন ও বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ শুকুর সালেকের সভাপতিত্বে ঘুড়ি উৎসবে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয় যুব সংগঠন ফেডারেশনের সভাপতি দুলাল বিশ্বাস, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মো. হারুন কবির, ঢাকাবসীর উপদেষ্টা হাজী আব্দুস সালাম, ঢাকাবাসী সংগঠনের আজীবন সদস্য হেলাল চৌধুরী।
অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে টিএসসির অভ্যন্তরে ঘুড়ি উড়ান আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ও অন্যান্য অতিথিরা। অনুষ্ঠান শেষে টিএসসি প্রদক্ষিণ করে ঘুড়ি র্যালি করেন ঢাকাবাসী। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র ও ঢাক ঢোল বাজানো হয় ঘুড়ি উৎসবে।