কাবাব বর্তমান সময়ে খুব জনপ্রিয় একটি খাবার। বিশেষ করে তরুণদের কাছে এর চাহিদা ব্যাপক। বার্গারের সাথে কাবাবের যে জম্পেস মেলবন্ধন, এর জন্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাবাব ও বার্গার রেস্টুরেন্ট চালু রয়েছে। এসব রেস্টুরেন্টে প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন ডলার কাবাব বিক্রি হয়। ঠিক একইভাবে জার্মানিতেও কাবাবের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে সম্প্রতি মূল্যস্ফীতির কারণে জার্মানিতে কাবাবের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। গত দুই বছরের মধ্যেই সেখানে কাবাবের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। তাই কাবাবের দামে স্থিরতা আনতে ভর্তুকির দাবি জানিয়েছে দেশটির একটি রাজনৈতিক দল। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।
জার্মানির রাজনৈতিক দল লেফট পার্টি সরকারের কাছে এ ভর্তুকির দাবি জানায়। এটি বর্তমানে জার্মান রাজনীতিতে একটি চলমান রসিকতা হয়ে উঠেছে, চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন,‘আমি যেখানে যাই, তরুণেরা আমাকে কাবাবের দাম কমবে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন করেন।’
তবে দেশের সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় লেফট পার্টির এমন উদ্যোগকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। মূল্যস্ফীতির কারণে দেশটিতে দ্রব্যমূল্যের ওপর যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে তার প্রেক্ষিতে একটি রাজনৈতিক দলের এমন প্রস্তাব খুবই ইতিবাচক বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।
এ বিষয়ে লেফট পার্টির ইয়ুথ পলিসি বিষয়ক মুখপাত্র কাথি জেবেল বলেন, দেশজুড়ে কাবাবের দাম কম করে হলেও ৭ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। সরকারের পক্ষ থেকে এটি জন সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের মধ্যে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে দাবি জানান তিনি।
এর প্রেক্ষিতে দলটির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে কাবাবের দাম ৫ ডলার ৩০ সেন্ট বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। দেশের তরুণদের কথা মাথায় রেখে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় লেফট পার্টি।
এর জন্য, সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলা হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে এ নিয়ে জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মজুরি ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় ডোনার কাবাবের দাম বেড়েছে। কাবাব বিক্রির দোকানগুলোর বেশি ভাড়া, জ্বালানি খরচ ও কাবাবের উপাদানের জন্য খরচ বেশি হচ্ছে। এগুলোর খরচ কমানো গেলে কাবাবের দামও কমে যাবে বলে মনে করেন জেবেল।
জেবেল আরও বলেন, ‘সরকার যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তবে কাবাবের দাম বেশি থেকে যাবে। আর তাহলে এটি আমাদের জন্য একটি বিলাসবহুল খাবারে পরিণত হবে।’