করোনাভাইরাস নিয়ে বাংলা ফাইভের গান

, ফিচার

ফিচার ডেস্ক | 2024-01-12 12:59:14

করোনাভাইরাসের দাপটে পুরো পৃথিবী বিপর্যস্ত—উন্নত বিশ্বের অর্থনীতি, স্বাস্থ্যখাত সবকিছুই এক আকস্মিক আঘাতে ভেঙে পড়েছে। সম্প্রতি কবলিত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোও নব্য এই মহামারির আঘাতে টালমাটাল। এরইমধ্যে বাংলাদেশের ব্যান্ডদল ‘বাংলা ফাইভ’ তাদের ‘যুদ্ধ’ নামক গানে হাজির করেছে করোনাকালের নতুন এক ব্যাখ্যা।

গানটিতে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক করোনাদুর্যোগ এবং যুদ্ধাস্ত্রের পূর্বাপর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। মানুষের প্রথম হানাহানি যা পাথর দিয়ে শুরু হয়েছিল—এরপর সে তালিকায় একে একে যুক্ত হয়েছে তরবারি, বন্দুক, বোমা, বুলেট এবং সর্বশেষ পরমাণুঅস্ত্র। কিন্তু করোনাকালীন বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে সবকিছুই পণ্ডশ্রমে পর্যবসিত। বুলেট নয় বোমা নয়, যুদ্ধের ময়দানে প্রতিপক্ষ এখন একটি ভাইরাস, যাকে খালি চোখে দেখাই যায় না। তবে যেকোনো মহামারির বিরুদ্ধে যে অস্ত্রটি কার্যকর উপায়ে ব্যবহার হতে পারে সেটি ভালোবাসা। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসাই রক্ষা করতে পারে পরস্পরকে, বাঁচিয়ে দিতে পারে পৃথিবীকে।

পৃথিবীজুড়ে ব্যান্ড সংঙ্গীতের উত্থান হয়েছিল প্রচল ও ক্ষমতার নগ্ন হাতের বিরোধিতার সূত্রে ধরে। বাংলা ফাইভও সেই বিদ্রোহের উত্তরাধিকার বহন করে ভালোবাসার আহ্বান নিয়ে এসেছে তাদের যুদ্ধ শিরোনামের এই নতুন গানে। গানটি লিখেছেন ও গেয়েছেন সিনা হাসান। বেজ এবং ড্রাম বাজিয়েছেন আদনান রুশদী, গেস্ট গিটারিস্ট হিসেবে ছিলেন রেডিও একটিভ ব্যান্ডের আজমাঈন আদিল।

ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় হওয়া গানটি কোনো স্টুডিওতে নয় বরং রেকর্ড করা হয়েছে চাইনিজ মোবাইলে। গণমুখী শিল্পের ক্ষেত্রে শ্রোতার কাছে পৌঁছানো ছাড়া কিছুই মুখ্য নয়, এই গান তার বড় প্রমাণ। বাংলা ফাইভের ভাষ্যানুযায়ী—“ভোকালের হোম স্টুডিও নেই, আর হাতের কাছে যা আছে তাই নিয়েই যুদ্ধে নামতে হয়।”

গানটির কথা ও গায়কিতে যেমন বর্তমান বাংলাদেশকে পাওয়া যায়, তেমনি এটি পৃথিবীর সব যুদ্ধবাজ দেশের ব্যর্থতাকেও এক সুতোয় গেঁথেছে। বাংলা ফাইভের এই ভাইরাস আদতে এক রূপক। যেটি ক্ষমতার অসৎ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্রুপের লক্ষ্য তাক করে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর