টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এটা নিয়ে দেশটিতে আলোচনা–সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ সাধুবাদ জানালেও অনেকেই প্রেসিডেন্টের এমন উদ্যোগ নিয়ে মজা করেছেন।
প্রেসিডেন্ট আলভিকে টিকটকে নাচের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন একজন। তবে আরিফ আলভি বলেছেন, পাকিস্তানের তরুণদের ইতিবাচক বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে টিকটকে যুক্ত হয়েছেন তিনি।
শনিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন প্রেসিডেন্ট আলভি। পরে এ তথ্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে থেকে শেয়ার করা হয়। এতে টিকটক অ্যাকাউন্টের লিংক উল্লেখ করে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এখন টিকটকে। পাকিস্তানের তরুণদের মধ্যে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিতে তিনি টু্ইটারে যুক্ত হয়েছেন। তাঁর (প্রেসিডেন্ট আলভি) টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে গঠনমূলক ভিডিও শেয়ার করা হবে।
মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তোলে এ টুইট। শুরু হয় আলোচনা–সমালোচনা। অনেকেই সাধুবাদ জানান। একজন টুইটারে লেখেন, এটা বাস্তববাদী ও দারুণ একটি উদ্যোগ।
তবে সমালোচনাও কম হয়নি। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, ‘প্রেসিডেন্টের এ উদ্যোগে আমি হতাশ। তবে এটাও ঠিক যে আমাদের দেশের নিকম্মি (নিষ্কর্মা) তরুণদের বার্তা দিতে এটা মোক্ষম একটি জায়গা। কেননা তারা (পাকিস্তানি তরুণ প্রজন্ম) বেশির ভাগ সময় এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় জিনিস দেখেই কাটিয়ে দেয়।’
আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারী প্রেসিডেন্ট আলভিকে রীতিমতো নাচের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বসেছেন। মজা করে তিনি লিখেছেন, ‘আপনি টিকটকে থাকবেন আর নাচের চ্যালেঞ্জ নেবেন না, তা কি হয়?’
আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি দেখতে চাই এরপর যখন আদালত টিকটক নিষিদ্ধের রায় দেবেন, তখন তিনি (প্রেসিডেন্ট) কী করেন।’
প্রেসিডেন্ট আলভির টিকটক অ্যাকাউন্টে এরই মধ্যে তার পুরোনো একটি বক্তব্যের ভিডিও আপলোড করা হয়েছে।