আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য নিউজিল্যান্ড তার সীমান্ত খুলবে পাঁচ মাস পর। বুধবার (২৪ নভেম্বর) দেশটির সরকার বলেছে, ২০২০ সালের মার্চ মাসে কোভিড ১৯-র আঘাতের পর থেকে সীমান্তে সতর্কতামূলক সকল কার্যক্রম পুনরায় সক্রিয় করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী করোনার ভ্যাকসিন সম্পন্ন করা ভ্রমণকারীদের জন্য আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল থেকে সীমান্ত খুলে দিবে দেশটি।
ভৌগলিকভাবে সম্পর্ক কিছু বিচ্ছিন্নতার পাশাপাশি দক্ষিণ মহাসাগরীয় দেশগুলোর প্রতি কঠোর বিধিনিষেধ প্রয়োগ করেছিল নিউজিল্যান্ড। এর ফলে দেশটি কোভিডের বিস্তার রুখতে সক্ষম হয়। এবং এসব বিধিনিষেধ অন্য অনেক সমকক্ষ দেশের তুলনায় নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি দ্রুততর সময়ে চালু হতে সহায়তা করেছে। যদিও চলতি বছরের শুরুর দিকে সংক্রামক ডেল্টা এই কৌশলকে পরিবর্তন করেছে। তাই নিউজিল্যান্ডে এখন টিকা গ্রহণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। দেশটির প্রধান শহর অকল্যান্ডে এখন ভ্যাকসিন গ্রহণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কোন ধরনের ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড। তাই ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত খুলে দিতে বেধে দিয়েছে বিধিনিষেধ। কোভিডের টিকা সম্পন্নকারী আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের প্রবেশের অনুমতি দিবে দেশটি। এর মাঝের পাঁচ মাস সীমান্ত বন্ধ থাকবে ভ্রমণকারীদের জন্য।
তবে প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়ার আবাসিক ভিসাধারীরা করোনার টিকা সম্পন্ন করে থাকলে আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকেই প্রবেশ করতে পারবে নিউজিল্যান্ডে। এছাড়া অন্যান্য দেশের আবাসিক ভিসাধারীরা প্রবেশের অনুমতি পাবে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে। নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স একটি সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হিপকিন্স বলেন, ‘বিশ্বের সাথে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করতে এবং মহামারি করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে এটি নিরাপদ সিদ্ধান্ত। এটি নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর তৈরি প্রভাবগুলোকে হ্রাস করবে’।
তিনি আরও বলেন, নতুন সিদ্ধান্তে ভ্রমণকারীদের আর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। তবে টিকা গ্রহণের সনদ উপস্থাপন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা করাতে হবে।