প্যারোলে মুক্ত বিলকিস বানু ধর্ষণ মামলার আসামি

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2024-02-24 15:35:48

ভাগ্নের বিয়ে উপলক্ষ্যে ১০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেলেন ভারতের আলোচিত বিলকিস বানু ধর্ষণ মামলার আসামি রমেশ চন্দনা।

এনডিটিভি জানিয়েছে, আগামী ৫ মার্চ থেকে ১০ দিনের রমেশের প্যারোল মঞ্জুর করেছেন গুজরাট হাইকোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর গত ২১ জানুয়ারি পঞ্চমহল জেলায় গোধরা সাব-জেলে গিয়ে ধরা দেন গুজরাট সহিংসতায় খুন এবং গণধর্ষণের অপরাধীরা। গত সপ্তাহে প্যারোলের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রমেশ। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তার সেই আবেদন মঞ্জুর করেন ।

বিলকিস মামলায় রমেশ দ্বিতীয় অপরাধী, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণের পরে যার প্যারোল মঞ্জুর করা হয়েছে। এর আগে, সেই মামলার অন্য এক আসামি প্রদীপ মোধিয়ার প্যারোলের আবেদনও মঞ্জুর করেছিল গুজরাত হাইকোর্ট। ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন প্রদীপ।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের কাছে গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হলফনামা বলছে, ২০০৮ সালে কারাবাস শুরুর পর থেকে ১,১৯৮ দিন প্যারোলে মুক্ত ছিলেন রমেশ।

এ ছাড়াও ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে হত্যা এবং গণধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে জেলে ভাল আচরণ করার যুক্তি দেখিয়ে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট সরকার।

এর আগে মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ওই অপরাধীরা। বিজেপি শাসিত গুজরাট সরকার ১১ অপরাধীর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে। এরপরই ১১ জনকে ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় আদালত। সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্রও মিলেছিল।

তবে গত ৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট জানায়, গুজরাট সরকারের ওই সিদ্ধান্ত এখতিয়ার বহির্ভূত। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের পর্যবেক্ষণ ছিল, জালিয়াতি করে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কারণ, ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ারই ছিল না গুজরাট সরকারের।

একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় যে, খুন এবং ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনকেই দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলে ফিরে যেতে হবে। আত্মসমর্পণ করতে হবে তাদের। এরপর ২১ জানুয়ারি রাতে তারা কারাগারে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর