মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে যোগদান করাতে যুবকদের ধরপাকড় শুরু

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2024-02-29 17:09:37

বিদ্রোহীদের অগ্রগতি রুখতে নতুন পদ্ধতি বেছে নিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। সে দেশের সক্ষম নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে সপ্তাহ দুয়েক আগেই সেদেশে জারি হয়েছে সরকারি নির্দেশিকা।

আর তারপরেই সক্ষম যুবকদের পুলিশ এবং সেনা ধরপাকড় শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

থাইল্যান্ডে নির্বাসিত গণতন্ত্রপন্থী সরকারের সাংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুধু মান্দালয়ের ছয়টি শহরে অন্তত ৮০ জন তরুণ–তরুণীকে আটক করা হয়েছে। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে শুরু হয়েছে ধরপাকড়।

সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদান এড়াতে মিয়ানমারের তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা শুরু করেছেন বলেও ওই খবরে দাবি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর ইউক্রেন যুদ্ধে সেনার ঘাটতি মেটাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারও বাধ্যতামূলক যোগদাননীতি ঘোষণার পরেই রুশ যুবকদের একাংশ পোল্যান্ড, হ্যাঙ্গেরির মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাড়ি জমিয়েছিলেন।

গত নভেম্বর থেকে সেদেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ) নতুন জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স দেশটির সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭।’

পরবর্তী সময়ে জান্তা বিরোধী যুদ্ধে শামিল হয় চিন ন্যাশনাল আর্মি (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স (কেএলডিএফ), পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)।

এদিকে, থাইল্যান্ডে নির্বাসিত মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নাগরিকদের পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ইরাবতী খোলাখুলি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্সের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মদতপুষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠী দ্য ইউনাইটেড ওয়া স্টেট পার্টি (ইউডব্লিউএসপি) ইতিমধ্যেই কয়েকটি প্রদেশে সমান্তরাল সরকার চালানোও শুরু করে দিয়েছে। বহু সেনাও ইতিমধ্যে শিবির বদলে বিদ্রোহীদের দলে ভিড়েছে বলে দাবি করেছে ইরাবতি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর