বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পরেও স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ চাইতে পারেন মুসলিম নারীরা। বুধবার ( ১০ জুলাই) ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই আদেশ জারি করেছে।
বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেন। বুধবার ( ১০ জুলাই) ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীদের ঘরের কাজ করা অথবা পরিবার সামলানোর জন্য জন্য কোন বিনিময় মূল্য ছিল না। এজন্য হোমমেকার বা গৃহিণীদের কাজের কোন স্বীকৃতি দিতেও দেখা যায়নি। কিন্তু এখন থেকে ভারতীয় পুরুষদের তাদের স্ত্রীদের ঘর সামলানো ও পরিবারের দেখাশোনা করার মূল্য দিতে হবে।
একজন তালাকপ্রাপ্ত মুসলিম নারী ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১২৫ এর অধীনে তার স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ চাইতে পারেন-বিচারপতি বিভি নাগারথনা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চ এই রায় দেন। বেঞ্চ বলেছে, ভরণপোষণ চাওয়ার অধিকার সমস্ত বিবাহিত নারীদের জন্য প্রযোজ্য, ধর্ম নির্বিশেষে।
এর আগে তালাকের পর সাবেক স্বামীর প্রতি ভরণপোষণের দাবি জানিয়ে নিম্ন আদালতে মামলা করেন এক মুসলিম নারী। এর ফলে তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তীকালীন ভরণপোষণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন আবদুল সামাদ নামে ওই নারীর স্বামী। বুধবার তার সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি নাগারত্ন বলেন, ‘আমরা এই আর্জি খারিজ করে দিচ্ছি। আর আমরা এটা বলছি যে শুধুমাত্র বিবাহিত নারীর জন্য নয়, বিবাহবিচ্ছিন্ন নারীদের জন্যও প্রযোজ্য হবে কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওরের ১২৫ ধারা।’
কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর তথা সিআরপিসির ১২৫ ধারায় কী আছে?
এই আইনের ১২৫ ধারায় স্ত্রী, সন্তান এবং পিতামাতার ভরণপোষণ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সন্নিবেশিত আছে। এই ধারা অনুসারে, স্বামী, পিতা বা সন্তানের উপর নির্ভরশীল স্ত্রী, পিতা-মাতা বা সন্তানরা তখনই ভরণপোষণ দাবি করতে পারেন যখন তাদের জীবিকার অন্য কোন উপায় নেই।