২০২৪ সালে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত ৯০১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। ২০২৩ সালের থেকে এই সংখ্যা ৬ শতাংশ বেশি। এছাড়া দেশটিতে নারীদের মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যাও বেড়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এসব তথ্য দেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ভলকার তুর্ক জানান, ইরানে ৯০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুদণ্ডের খবর পেয়েছে জাতিসংঘ। যার মধ্যে শুধু ডিসেম্বরের এক সপ্তাহেই ৪০ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে দেশটি। এদিকে, নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারীর সংখ্যা কমপক্ষে ৩১।
তবে ইরানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি গভীরভাবে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন ভলকার তুর্ক। তিনি বলেন, ইরানের এ ধরনের কার্যক্রম থামিয়ে দেওয়ার উপযুক্ত সময় এখনই।
২০২২ সালে কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যু কেন্দ্র ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়, যা দেশটিতে ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। ইরানের বাধ্যতামূলক পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আটকের পর পুলিশি হেফাজতে মারা যান ওই তরুণী।
ইরানে হত্যাকাণ্ড, মাদক চোরাচালান, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের মতো বড় অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, চীনের পর ইরানই প্রতিবছর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। তবে চীনের হিসাব পাওয়া যায় না।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নেতৃত্বাধীন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সমাজে ভীতি সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে মৃত্যুদণ্ডকে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন। বিশেষ করে ২০২২-২৩ সালে দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়।