বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু; সাবেক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা থেকে প্রধানমন্ত্রী। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। দল ও সরকারের ভেতরে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা হিসেবে।
কিন্তু তার নেতৃত্বে কালো মেঘের ছায়া পড়তে শুরু করেছে। ক্ষমতার গদি থেকে বিদায়ের ঘণ্টা বেজে ওঠার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
চলতি বছর দুই দফার নির্বাচনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন না পাওয়ায় সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছে তার নেতৃত্বাধীন লিকুদ পার্টি। এরই মধ্যে ২০২০ সালের মার্চে নতুন নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সেই নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব নেতানিয়াহুর হাতে দিতে দ্বিধাগ্রস্ত লিকুদ পার্টির একাংশ। দলের মধ্যে থেকে বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছেন নেতানিয়াহু।
ভোটের মাধ্যমে দলের প্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে লিকুদ পার্টি। দেশজুড়ে দলের প্রাথমিক ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেছে।
নেতানিয়াহুকে দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিতে দলীয় নির্বাচনে লড়ছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী গিদেওন সার। গিদেওনের দাবি, তিনি মার্চের নির্বাচনে সরকার গঠনে নেতানিয়াহুর চেয়ে ভালো অবস্থানে থাকবেন।
তবে, আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে জয় পাবার সম্ভাবনা রয়েছে নেতানিয়াহুর। দুর্নীতির অভিযোগ দায়েরের পর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পরও দলের অনেক সদস্যের মধ্যে জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। ১৯৭০ এর দশকে লিকুদ পার্টির জন্মের পর চার প্রভাবশালী নেতার একজন নেতানিয়াহু। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের হাল ধরে রেখেছেন।
গিদেওন সারের বিজয়ের সম্ভাবনাও নাকচ করে দেয়া হয়নি আল-জাজিরার প্রতিবেদনে। সারও শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন। জয় নিয়ে মার্চের নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। সারের পক্ষের এক দলীয় সদস্য ও নির্বাচনী প্রচারণার ব্যবস্থাপক ইয়াভ কিসচ বলেন, আমরা বিজয় দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।
নেতানিয়াহু দলের নেতৃত্বে থাকে, না লিকুদ পার্টি নতুন নেতা বাছাই করে তা জানা যাবে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর)।