যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক কৃষ্ণাঙ্গকে মার্কিন বিমানবাহিনীর প্রধান করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার শেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুকে ঘিরে দেশব্যাপী চলমান বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে জেনারেল চার্লস ব্রাউন জুনিয়র নামের ওই কৃষ্ণাঙ্গকে বিমানবাহিনীর চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দিল মার্কিন সিনেট।
সমালোচকেরা বলছেন, দেশের ৫০ স্টেটের ১৪০টি বড় শহরে চলমান বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন কিছুটা প্রশমিত করতেই মঙ্গলবার (৯ জুন) মার্কিন সিনেটের সবার সম্মতিতে জেনারেল চার্লস ব্রাউনকে বিমানবাহিনীর প্রধান করার প্রস্তাব পাস হয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ও ফক্স নিউজ জানিয়েছে, মঙ্গলবার জেনারেল চার্লস ব্রাউনকে বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাবের পক্ষে ৯৮ ভোট ও বিপক্ষে শূণ্য ভোট পড়ে।
এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, এটা আমেরিকার জন্য ঐতিহাসিক একটি দিন। জেনারেল ব্রাউনের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি, যে কি না অসাধারণ একজন দেশ প্রেমিক ও দুর্দান্ত নেতা।
গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় পুলিশ অন্যায়ভাবে নিরস্ত্র জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করছে এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। হত্যার দ্বিতীয় দিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। এরপর বিশ্বজুড়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ নামে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে অন্যায়ভাবে পুলিশ সদস্যরা হত্যা করে। এ সময় জর্জ ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরা হয়। সে বারবার নিশ্বাস নেবার জন্য আর্তনাদ করতে থাকে এবং বাঁচার আর্জি জানায়। অন্যায়ভাবে ফ্লয়েডকে মৃত্যুর ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গরা বিক্ষোভ শুরু করলেও এখন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
বিক্ষোভটি যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। কারফিউ জারি করা হয়েছে ৪০টি শহরে।