চলতি হজ মৌসুমে গত ছয় সপ্তাহে বিশ্বের ১৪ লাখেরও বেশি মুসলিম হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারকে সালাম ও রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায় করেছেন।
রোববার (২৩ জুন) সরকারি পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা এসপিএর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ জিলকদ থেকে ১৪ জিলহজ অর্থাৎ দেড় মাসে ৭ লাখ ৬২ হাজার ১০১ জন পুরুষ এবং ৬ লাখ ৪১ হাজার ৫৩৯ জন নারী (মোট ১৪ লাখ ৩ হাজার ৬৪০ জন) রাসুলের রওজায় সালাম ও রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায় করেছেন।
রিয়াজুল জান্নাতের আয়তন ৩৩০ বর্গমিটার, এখানে প্রতি ঘন্টায় ৮০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন। একজন দর্শনার্থী মাত্র ১০ মিনিট থাকার সুযোগ পান।
মসজিদে নববির মিম্বর থেকে শুরু করে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজার (যেখানে নবী কারিম সা.-এর ঘর ছিল) মধ্যবর্তী স্থানটুকুকে রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগিচা বলা হয়। হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার ঘর ও আমার মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানে বেহেশতের একটি বাগিচা বিদ্যমান।
হজ ও উমরাকারীরা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা জিয়ারত এবং রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায়ের জন্য মদিনা সফর করেন। তবে রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায়ে ইচ্ছুকদের নির্দিষ্ট অ্যাপে আবেদন করে আগে থেকেই অনুমতি নিতে হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে রওজা শরিফ পরিদর্শনের নতুন নিয়ম জারি করে সৌদি আরব। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে বিশ্বের মুসলিমরা বছরে কেবল একবারের জন্য রিয়াজুল জান্নাত পরিদর্শন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন
নবী কারিম (সা.)-এর রওজা জিয়ারতের গুরুত্ব
সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থানটি ৩৬৫ দিনই পরিদর্শন করতে পারবেন মুসলিমরা। এমনকি রওজা শরিফে সালামও পেশ করতে পারবেন। তবে একজন মুসলিম বছরে মাত্র একবার রিয়াজুল জান্নাত পরিদর্শনের অনুমতি পাবেন।
মন্ত্রণালয় বলেছে, একজন মুসলিম তার সর্বশেষ পরিদর্শনের অনুমতির ৩৬৫ দিন পর রিয়াজুল জান্নাত পরিদর্শনের জন্য নুসুক বা তাওয়াক্কালনা অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
চলতি বছর বিশ্বের প্রায় ১৮ লাখ মুসলিম হজ পালন করেছেন। এছাড়া বছরজুড়ে ওমরাযাত্রীরা মসজিদে নববিতে গমন করেন।
সৌদির সরকারি এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (রমজান মাসসহ) রওজা মোবারক জিয়ারত করেছেন ৭ কোটি ৪৫ লাখের বেশি মুসলিম। গত বছর ২৮ কোটিরও বেশি মুসলিম রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।