নবী কারিম (সা.)-এর অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য

, ইসলাম

মাওলানা ফখরুল ইসলাম, অতিথি লেখক, ইসলাম | 2024-09-16 11:17:26

পৃথিবীতে নবী-রাসুলদের আনীত ধর্ম ও শিক্ষার পূর্ণতা দান করেছিলেন নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) বলেন, আল্লাহতায়ালা আমাকে সচ্চরিত্র এবং ভালো কাজগুলোর পূর্ণতা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। -মিশকাত : ৫১৪

নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ছিল অনন্য বৈশিষ্ট্যময়। সেসব বৈশিষ্ট্য থেকে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো-

নবী কারিম (সা.)-এর বিশেষ পাঁচ বৈশিষ্ট্য

হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, আমাকে এমন পাঁচটি বৈশিষ্ট্য প্রদান করা হয়েছে, যা এর আগে কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি।

ক. এক মাসের পথের দূরত্ব পর্যন্ত শত্রুপক্ষের অন্তরে আমার ভীতি সঞ্চারিত করে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে।

খ. সমগ্র ভূখণ্ডকে আমার জন্য মসজিদ এবং পবিত্রকারী অর্থাৎ নামাজ ও তায়াম্মুমের উপযুক্ত বানানো হয়েছে।

গ. আমার জন্য গনিমতের মাল হালাল করা হয়েছে, যা এর আগে কোনো নবীর জন্য হালাল করা হয়নি।

ঘ. আমাকে মহান সুপারিশের দায়িত্ব দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে।

ঙ. পূর্বেকার সব নবী নিজ জাতির কাছেই প্রেরিত হতেন আর আমি পৃথিবীর সব মানুষের কাছে প্রেরিত হয়েছি। -মিশকাতুল মাসাবিহ : ৫১২

তিনি ছিলেন সবার রাসুল

পৃথিবীতে নবী-রাসুলদের আগমনের ধারাক্রম নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। তার পরে আর কোনো নবী আসবেন না। ফলে তিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছেন। কেয়ামত পর্যন্ত আগত সব মানুষ ও জিন তার আনীত শরিয়ত (জীবনবিধান) মানতে বাধ্য। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘বলুন, হে মানবজাতি! আমি তোমাদের সবার প্রতিই আল্লাহর রাসুল হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।’ -সুরা আরাফ : ১৭৫

আল্লাহতায়ালা নবী কারিম (সা.)-কে মানবতার মুক্তির দূত ও সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আপনাকে সমগ্র জগতের প্রতি শুধু রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।’ -সুরা আম্বিয়া : ১০৭

আল্লাহতায়ালা নবী মুহাম্মদ (সা.)-কেই শুধু সম্মানিত করেননি, বরং তার উম্মতকেও সম্মানিত করেছেন। তাদের অন্য উম্মতের জন্য সাক্ষ্য ও আদর্শ বানিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘এভাবে আমরা তোমাদের একটি উত্তম জাতিরূপে গড়ে তুলেছি, যাতে তোমরা গোটা মানবজাতির জন্য সত্যের সাক্ষ্যদাতা হতে পারো এবং রাসুল যেন তোমাদের সাক্ষ্য বা নমুনা হন।’ -সুরা বাকারা : ১৪৩

সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন তিনি

সমগ্র মানব ও জিন জাতির মধ্যে নবী মুহাম্মদ (সা.) সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন আমি বেহেশতের দরজায় এসে দরজা খুলতে বলব। তখন বেহেশতের প্রহরী এসে বলবে, আপনি কে? আমি বলব, মুহাম্মদ। তখন বেহেশতের প্রহরী বলবে, আপনার বিষয়ে আমাকে আদেশ দেওয়া হয়েছে, যেন আপনার আগে আর কারও জন্য দরজা না খুলি।’ -মিশকাতুল মাসাবিহ : ৫১১

এ সম্পর্কিত আরও খবর