বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পবিত্র হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১৫২ এজেন্সিকে অনুমোদন দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্যায়ে ৬৩৬টি এজেন্সিকে অনুমোদন দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। চলতি বছর দুই ধাপে মোট ৭৮৮টি এজেন্সি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন পেল।
২০১৯ সালে ৫৯৮টি হজ এজেন্সি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল। সে হিসেবে এবার দুই ধাপে ১৯০ টি হজ এজেন্সি বেশি অনুমোদন পেল।
সোমবার (২ মার্চ) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ-২) এস এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদিত এসব হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করা হয়।
৬৩৬ বৈধ হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ
শর্তগুলো হলো- প্রত্যেক যাত্রীর সঙ্গে হজ এজেন্সির লিখিত চুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক এজেন্সি চলতি বছর সর্বোচ্চ ৩০০ জন ও সর্বনিম্ন ১০০ জন হজযাত্রী পাঠাতে পারবেন। প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করতে হবে। অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে হজে নেওয়া যাবে না। যদি কোনো এজেন্সি এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরকে এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তালিকা প্রকাশের পর কোনো হজ এজেন্সির তথ্য ভুল বা অসত্য প্রমাণিত হলে এবং কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিত সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাতিলের অধিকার সংরক্ষণ করে।
উল্লেখ্য, যেসব এজেন্সি এ পর্যন্ত হালনাগাদ কাগজপত্রাদি মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেনি, জামানত বাবদ ২০ লাখ টাকার এফডিআর জমা করেনি, বিভিন্ন অভিযোগে শাস্তি বা জরিমানা প্রাপ্ত, সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত, মামলায় জড়িত ও অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে সেসব এজেন্সিসমূহের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩০ জুলাই (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। তন্মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন হজে যাবেন।