পরিবেশ রক্ষার দাবিতে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। তাদের অভিযোগ, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশ রক্ষায় দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে না।
দক্ষিণ কোরিয়ার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৮৬ ফারেনহাইট) অতিক্রম করার পর প্রতিবাদী মিছিলে নামেন সিউলবাসী। এতে শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের লোকজনও অংশগ্রহণ করেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অন্তত ৩০ হাজার বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদী মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশ রক্ষার দাবিতে মিছিল করেছেন। চলতি বছরের মধ্যে সিউলে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রতিবাদী মিছিল।
‘ক্লাইমেট জাস্টিস’ ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদী মিছিলটি করেন। এছাড়া আরো যে ব্যানার মিছিলে দেখা যায়, তাতে লেখা ছিল- ‘আমাদের জীবন বাঁচান’, ‘ক্লাইমেট ভিলেন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল প্রশাসনকে আর চাই না’!
প্রতিবাদী মিছিলের নেতৃত্বদানকারী পরিবেশকর্মী ইয়ু সি-উন রয়টার্সকে বলেন, সত্যি কথা বলতে কী, এই গ্রীষ্ম আর বাঁচার উপযোগী নয়। মানুষ মানুষের মতো বাঁচতে পারছে না!
ইয়ু সি-উন বলেন, আমরা এমন এক সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি যা, শুধু একটি দেশ বা একজন মানুষের সমস্যা নয়। আমরা ইতিবাচক ধারাবাহিক পরিবর্তন চাই। কিছু একটা করার সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।
‘৯০৭ ক্লাইমেট জাস্টিস মার্চ গ্রুপ কমিটি’ শনিবার এ প্রতিবাদী বিক্ষোভের আয়োজন করে।
এই কমিটি জানায়, আগস্ট মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ আদালত একটি রুল জারি করে যে, ‘ন্যাশসন’ ক্লাইমেট চেঞ্জ ল’ মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, আগামী প্রজন্মের জন্য প্রতিরক্ষা ব্যুহ তৈরি করতে পারেনি এই আইন।
দক্ষিণ কোরিয়া ২০৫০ সাল নাগাদ কার্বন নির্গমণ নিরপেক্ষ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে।