প্রকৃতি রক্ষায় জোট গঠন, মানবজাতির অস্তিত্ব নিয়ে হুঁশিয়ারি

  • জীবন ও প্রকৃতি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রকৃতি রক্ষায় জোট গঠন

প্রকৃতি রক্ষায় জোট গঠন

পরিবেশ রক্ষায় জাতিসংঘ আয়োজিত ১৬তম সম্মেলনে প্রকৃতি রক্ষায় ২০টি দেশ নিয়ে একটি জোট গঠন করা হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার রাজধানী ক্যালিতে চলমান ১৬তম সম্মেলনে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এই জোট গঠন করা হয়।

এই জোটের পক্ষ থেকে এক ঘোষণায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে মানবজাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে চলেছে।

বিজ্ঞাপন

২১ অক্টোবর শুরু হওয়া ২শ দেশের প্রতিনিধি সমন্বয়ে জাতিসংঘ আয়োজিত ‘দ্য কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ (সিওপি১৬) টু দ্য কনফারেন্স অন বায়োলিজক্যাল ডাইভার্সিটি (সিবিডি) শীর্ষক সম্মেলন চলবে ১ নভেম্বর পর্যন্ত।

২৯ অক্টোবর ২০ দেশের প্রতিনিধি নিয়ে একটি জোট গঠন করার পর ২০৩০ সাল নাগাদ পরিবেশ বিপর্যয় রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পক্ষ থেকে তহবিল জোগানের কথা বলা হলেও বাস্তবে এটি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। জোটের পক্ষ থেকে স্লোগান নির্ধারণ করা হয়, ‘প্রকৃতির সঙ্গে শান্তি স্থাপন’।

জোটভুক্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম মেক্সিকো, সুইডেন, উগান্ডা, চিলি। এছাড়া এশিয়া-প্যাসিফিকভুক্ত দেশগুলির মধ্যে আরো ৯টি দেশ এই জোটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই দেশগুলি সমন্বিতভাবে একটি করণীয় সম্পর্কে নীতি তৈরি করবে, যার উদ্দেশ্য হবে প্রকৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি এবং প্রকৃতির সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। জাতিসংঘ আয়োজিত ১৬তম সম্মেলনে ৬ দেশের প্রেসিডেন্ট এবং ১শটির বেশি সরকারের মন্ত্রী, নেতারা অংশ নিচ্ছেন।

এ সম্মেলনে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বলেন, আমরা মানব জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার যুগ শুরু করেছি। আমি মনে করি না যে, আমরা বড় কিছু শুরু করেছি।

পেট্রো বলেন, মার্কেট কখনো মানুষকে রক্ষা করবে না। জীবন কখনো অর্থ দিয়ে মূল্যায়ন করা যাবে না। প্রকৃতি রক্ষায় আমাদের আর সময় ক্ষেপণ করা সময় নেই।

এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরিস বলেন, প্রকৃতি হচ্ছে জীবন। তারপরেও আমরা এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এই যুদ্ধে কেউই বিজয়ী হবে না। এর ফলে জীবনের অস্তিত্ব বিপন্ন এখন।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশের বক্তারা বলেন, সিওপি১৬ এখন একটি বাঁকের মুখোমুখি। ২০২২ সালের কুনমিং-মন্ট্রিল গ্লোবাল বায়োডাইভার্সিটি ফ্রেমওয়ার্কে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রকৃতি রক্ষায় ২৩টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য ২শ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে পৃথিবীকে রক্ষায় ব্যয় করার জন্য।