ইউরোপ-এশিয়াভুক্ত (ইউরেশিয়া) দেশ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে শুরু হচ্ছে, দ্য ইউএন ক্লাইমেট চেঞ্জ কনফারেন্স-কপ২৯ (The UN Climate Change Conference COP29)।
সোমবার (১১ নভেম্বর) শুরু হয়ে এ সম্মেলন চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত।
এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কর্মসূচিতে অর্থায়ন অব্যাহত রাখা এবং সেইসঙ্গে এই কর্মসূচিতে আরো বিনিয়োগ করা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) ইইউ নেইবার্স ইস্ট নামে নিউজপোর্টালে এ খবর প্রকাশিত হয়।
খবরে বলা হয়, সোমবার থেকে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ‘দ্য প্যারিস এগ্রিমেন্ট’র (প্যারিস চুক্তি) অনুযায়ী, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাত্রা যতটুকু সম্ভব ১.৫ সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে দেশগুলির কর্মসূচি পর্যালোচনা করা হবে।
এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা কোনো দেশের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি ইউরোপসহ সারাবিশ্বের জীবন ও প্রকৃতির ওপর হুমকিস্বরূপও।
খবরে বলা হয়, কপ২৯-এ ক্লাইমেট অ্যাকশনের কমিশনার ওপকে হোয়িস্ত্রা ইউরোপীয় ইউনিয়ন দলের নেতৃত্ব দেবেন। তিনি কমিশনার ফর এনার্জি, কাদরি সিমসন এবং ইনোভেশন, রিসার্চ, কালচার, এডুকেশন ও ইয়ুথ ইলিয়ানা ইভানোভার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন।
কপ-২৯-এর মাধ্যমে ‘প্যারিস এগ্রিমেন্ট’ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি আরো বিনিয়োগ এবং জলবায়ু পরির্তনজনিত অভিযোজনখাতে (Adoptation of a New Collective Quantified Goal-NCQG) আরো আর্থিক বরাদ্দ করার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনজনিতখাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় অনুদান দেয় ইউরোপীয় ই্উনিয়ন (ই্উ)। ২০২৩ সালে ইইউ অনুদান দিয়েছে মোট ২৮.৬ বিলিয়ন ইউরো।
এছাড়া গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন নিঃসরণ হ্রাসে তৃতীয় বিশ্বের দেশের প্রাইভেটখাতে আরো ৭.২ বিলিয়ন অনুদানের জন্য তহবিল জোগাড় করতে কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ইইউ।
কপ-২৯-এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে, ২০২৩ সালের দুবাইতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানিখাতে পরিবর্তনে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে পারস্পরিক বৈঠক করা। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে এর দক্ষতা দ্বিগুণ করতে আলোচনা করা।