বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে আন্তর্জাতিক তেল ও গ্যাস কোম্পান শেল-এর বিরুদ্ধে দায়ের করা এক রুল খারিজ করে দিয়েছেন ডাচ কোর্ট।
২০২১ সালে এক রুলে শেল কোম্পানিকে আদেশ দেওয়া হয়, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে। শেল-এর উৎপাদন সামগ্রী কার্বন নিঃসরণ করে থাকে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) শেল-এর বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, দ্য হেগ তেল ও গ্যাস উত্তোলন কোম্পানি শেল-এর বিরুদ্ধে আনা এক রুল খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী গ্রিন হাউস গ্যাস থেকে মানুষকে রক্ষায় শেল কোম্পানির নিজস্ব দায়বদ্ধতা আছে। সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে শেল তার নিজের পথেই রয়েছে।
এ বিষয়ে দ্য হেগের বিচারক কার্লা জৌস্ত্রা বলেন, যেহেতু শেল-এর নিজস্ব দায়বদ্ধতা রয়েছে, সে কারণে কোম্পানিটিকে আমরা ৪৫ শতাংশ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিতে পারি না।
আপিল খারিজের পর শেল-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) ওয়ের সায়ন দ্য হেগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শেল বিশ্বাস করে, আন্তর্জাতিক জ্বালানি সরবরাহকারী হিসেবে এটা একটি সঠিক সিদ্ধান্ত।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে রুলের বিরুদ্ধে রায়ের আগে শেল-এর শেয়ারের দর ০.২ শতাংশ পড়ে যায়।
শেল কোম্পানির রুলের শুনানি এমন সময়ে হলো, যখন আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জাতিসংঘ আয়োজিত কপ-২৯ শুরু হয়েছে।
২০১৯ সালে শেল-এর বিরুদ্ধে ২০৩০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণের হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ শতাংশ করার দাবিতে রিট করে পরিবেশ অধিকার রক্ষা গ্রুপ ‘ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ নেদারল্যান্ডস’।
রুল খারিজের পর গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশ্বের সর্ব বৃহৎ পরিবেশ দূষণকারী শেল কোম্পানির বিরুদ্ধে তারা আইনগত লড়াই চালিয়ে যাবে।
এ প্রসঙ্গে ‘ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ নেদারল্যান্ডস’-এর পরিচালক ডোনাল্ড পোলস বলেন, একইসঙ্গে এই রিট প্রমাণ করে যে, বৃহৎ পরিবেশ দূষণকারীও আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
তবে নেদারল্যান্ডসের সুপ্রিম কোর্টে আবারও আপিল করা হবে কিনা, সে বিষয়ে গ্রুপটি কিছু জানায়নি।