আপনি কি মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন? বন্ধু বা কলিগদের সঙ্গে কাটানো সময়ে কী কথা বলবেন বুঝেই উঠতে পারেন না! কিংবা অপরিচিত কেউ সামনে এলে ভীষণ নার্ভাস হয়ে পড়েন! এগুলো সবই সামাজিক উদ্বিগ্নতার ফল।
আপনার যদি মনে হয়- দীর্ঘদিন ধরেই আপনি এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন, তবে এখনই নিজেকে নিয়ে ভাবুন। সমস্যা জটিল হওয়ার আগেই নিয়ম মেনে পাল্টে ফেলুন নিজের মনোভাব।
#সামাজিক উদ্বিগ্নতা কাটিয়ে ওঠার উপায়:
নিয়ম করে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন: শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি যে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার কারণে মানুষের মধ্যে সামাজিক উদ্বিগ্নতার সৃষ্টি হয়। ফলে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে নিয়ম করে জোরে জোরে শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ করুন। দিনের অবসর সময়ে কয়েক মিনিটের জন্য ব্যায়াম করুন এতে আপনার হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক থাকবে।
আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন: যারা সামাজিক উদ্বিগ্নতায় ভোগে তাঁরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বুঝতে পারেন না কীভাবে অন্য লোকেদের সাথে আচরণ করা উচিত। যার সাথেই কথা বলবেন, তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। দৃঢ়ভাবে হ্যান্ডশেক করুন এবং অভিবাদন জানান। আর মেসেজ এড়িয়ে সরাসরি অথবা ফোনে কথা বলুন।
নিজেকে জোর করে সরাবেন না: নিজেকে একটি সম্পূর্ণ অজানা পরিস্থিতিতে নিয়ে গেলেই যে সমস্যা কমে যাবে তা নয়, উল্টো খারাপ হতে পারে ফল। কোনও কিছু থেকেই দুম করে নিজেকে সরিয়ে নেবেন না! বরং ধীরে ধীরে আপনার কমফোর্ট জোন বানান। প্রথমে ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, এভাবে সময়ের সাথে সাথে নিজেকে প্রস্তুত করুন।
ওয়ার্কআউট করুন: অতিরিক্ত চিন্তা শুধুমাত্র সামাজিক উদ্বেগ বাড়াতেই পারে। মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন দুশ্চিন্তা। ব্যায়াম করুন, ওয়ার্কআউটে সময় দিন বা বাজারে ঘুরে ঘুরে বার্গেইন করে কেনাকাটা করুন। নিজেকে এই কাজে ব্যস্ত রাখলে অ্যাড্রেলালিন ক্ষরণ কমবে, উদ্বেগও কমবে পাল্লা দিয়ে।
হয়ে উঠুন মনোযোগী শ্রোতা: যদি আপনি ভিড়ের মধ্যে কথা বলতে না চান, তাহলে মনোযোগ সহকারে শুনুন। সবাই তাদের মনের কথা শেয়ার করতে চায়। তাই ভালো শ্রোতা হওয়া মানুষের সঙ্গে মিশতে পারার বড় গুণ।
এই টিপসগুলি মেনে চললে অনেকটা সামাজিক উদ্বেগ কমাতে পারবেন আপনি। যদি সমস্যা বেশি হয় দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য নিন।