যে কারণে সাজের ক্ষেত্রে সবসময় চোখের সাজকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু চোখের সাজটাকে কেন যেন বেশ কঠিন বলে মনে হয়। অল্প সময়ের সাজে চোখকে পরিপূর্ণভাবে ফুটিয়ে তুলতে, বড় দেখাতে ও আকর্ষণীয় করে তুলতে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চলাই যথেষ্ট।
চোখকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে চাইলে আইভ্রু আঁকতে হবে পারফেক্টলি। চোখের উপর যতই কারুকাজ করা হোক না কেন, আইভ্রু যদি সঠিক শেপে আঁকা না থাকে তবে সব ভন্ডুল হয়ে যাবে।
চোখের আশেপাশের অংশে যদি ফোলাভাব থাকে তবে কোন সাজেই চোখকে সুন্দর দেখাবে না। ঘুম কম হবার ফলে চোখে ফোলাভাব দেখা দেয়। তাই চেষ্টা করতে হবে চোখের ফোলাভাব দূর করার জন্য।
চোখের সাজের শুরুতেই চোখের নিচের ডার্ক সার্কেলকে সরিয়ে দিতে হবে কনসিলারের সাহায্যে। নইলে কাজল কিংবা আইলাইনার দেওয়া হলে চোখকে আরও বেশী কালো দেখাবে।
ডার্ক রঙের আইশ্যাডো অনেকে পছন্দ করলেও ত্বকের রঙের সাথে মানিয়ে যায় এমন ধরণের আইশ্যাডোই মূলত চোখকে আকর্ষণীয় করে তোলে। নিজের ত্বকের কাছাকাছি রঙের সাথে মানিয়ে যাওয়া ভিন্ন শেডের আইশ্যাডো চোখকে বড় দেখাতেও সাহায্য করে।
চোখের নিচের পাপড়ির ওয়াটার লাইন (পাতায়) কাজল অহরহ ব্যবহার করা হলেও উপরের অংশের ওয়াটার লাইনে কাজল একেবারেই ব্যবহার করা হয় না সাধারণত। বরং উল্টো কাজেই চোখকে দেখতে আকর্ষণীয় ও সুন্দর দেখায়।
চোখের উপরের পাতার ওয়াটার লাইনে কালো কাজন ব্যবহার করতে হবে এবং নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে ব্যবহার করতে হবে ন্যুড কালার অথবা সাদা রঙের কাজল।
ন্যাচারাল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করার পর চোখের বাইরের দিকের কোনার অংশে (ক্রিজ) একটু গাড় কিংবা কালো রঙের শ্যাডো দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। একইসাথে চোখের ভেতরের দিকের অংশে গ্লিটারি শ্যাডো দিয়ে হাইলাইট করে নিতে হবে।