আখ একধরণের বহুবর্ষজীবী ঘাস। এটি বাশঁ ও ঘাসের জাতভাই। আখের কাণ্ড চিনির প্রাকৃতিক উৎস হিসেবে পরিচিত। প্রথাগতভাবে আখের কান্ডের এক টুকরার দুই-তৃতীয়াংশ মাটিতে পুঁতে দিয়ে এর চাষ করা হয়। তবে ইদানীং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গবেষণাগারে টিস্যু কালচারের মাধ্যমেও আখের ব্যাপক চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশে গড়ে প্রতি বছর ০.৪৩ মিলিয়ন একর জমিতে ৭.৩ মিলিয়ন মে.টন আখ উৎপন্ন হয়।
আখ যেভাবে খাবেন:
কাঁচা আখের ডাল প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি স্বাদযুক্ত। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কাঁচা খাওয়া হয়। তবে খাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে ডাঁটির চারপাশের শক্ত ত্বক সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এই সুস্বাদু পানীয়টি তৈরি করতে লাগে লেবুর রস, আদা এবং আখের এক্সট্র্যাক্ট বা নির্যাস। এটির প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
কিউই ফল এবং পুদিনা পাতার সাথে আখের রস মিশিয়ে সহজেই গ্রীষ্মকালীন পানীয় তৈরি করতে পারেন যা শরীরকে শীতল রাখবে।
আখ খাওয়ার উপকারিতা:
আখ যেহেতু প্রাকৃতিক মিষ্টি তাই এটি সবাই খেতে পারে। তাছাড়াও আখের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। জেনে নিন সেগুলো-
শীতকালে মানুষ প্রায়শই পানি পান করতে ভুলে যায়। আখের রসে প্রচুর পরিমাণে ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে। তাই আখের রস পান করলে দীর্ঘ সময় হাইড্রেড থাকা যায়।
আখের রস প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। এটি উপকারী কারণ আখের রস কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি দূর করে এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ রোধ করে।
আয়ুর্বেদের মতে, আখের রস পান করলে লিভার শক্তিশালী থাকে। এটি জন্ডিসের প্রতিকার হিসেবে কাজ করে।
আখের রসে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম থাকে। যা দাঁতকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।
আখের মধ্যে আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড থাকে যা ত্বকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি ব্রণের সাথে লড়াই করতে পারে, বার্ধক্য রোধ এবং ত্বকের দাগ দূর করে।
এই প্রাকৃতিক ঘাসের রসে ডায়েটরি ফাইবার বেশি থাকে। যা ওজন হ্রাসে সহায়তা করে । এছাড়াও আখের রসে উপস্থিত প্রাকৃতিক মিষ্টিতে গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে।