মানুষ দাঁত দিয়ে নখ কাটে কেন? গবেষকরা বলেন তার অনেক কারণ। বেশিরভাগই মানসিক। সমীক্ষা বলে দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস ২৫-৩০ শতাংশ শিশুরই আছে। তবে শুধু শিশু বা কম বয়সী নয়, দাঁত দিয়ে একমনে নখ কাটার অভ্যাসে প্রাপ্তবয়স্করাও কিছু কম যায় না।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক চিকিৎসক দাবি করেছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস বন্ধ না করা যায় তবে শরীরে নানা ধরণের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ কমবেশি এই সমস্যায় আক্রান্ত। মানসিক চাপ, অবসাদ বা উদ্বেগের পরিমাণ বাড়লে এই সমস্যা বাড়ে। কখনও একঘেয়েমি কাটাতেও অনেকে এই কাজ করেন।
দাঁত দিয়ে নখ কাটলে ভালো তো কিছু হয় না, উল্টে ক্ষতির ভাগটাই বেশি
- নখের কিউটিকল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- নখের চারদিকের নরম চামড়া উঠে গিয়ে সেখানে ক্ষত তৈরি হতে পারে।
- ক্রমাগত নখ কাটার ফলে সেখানে মুখের থুতু-লালা জমে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে।
- নখের ময়লা পেটে গিয়ে শরীরে নানা রোগ ধরতে পারে।
- নখ শুধু নয়, দাঁতেরও বিস্তর ক্ষতি হয় এই অভ্যাসের ফলে।
- দাঁত দিয়ে নখ কাটার কারণে মানসিক চাপ মোটেও কমে না, বরং নানারকম মানসিক রোগ ধরতে পারে। সতর্ক করছেন গবেষকরা।
কেন সমস্যা হয়?
সারা দিন আমরা অনেক জায়গায় যাই, অনেক মানুষের সাথে হাত মেলাই। তার ফলে অনেক জীবাণু হাতে লাগে। যার বেশিরভাগ আশ্রয় নেয় নখে। পরে দাঁত দিয়ে নখ কাটলে তা খাবারের মাধ্যমে মুখে চলে যায়। গলা, ফুসফুস, পেট, নাকের মতো জায়গায় নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটায়।
কী করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়?
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে যা করতে পারেন তা হলো নখ ছোট করে কেটে ফেলেন। এরপরেও সমাধান না হলে নখে নেলপলিশ লাগিয়ে রাখা, ম্যানিকিওর করলে নখ কাটার প্রবৃত্তি কমবে। একেবারেই মন না মানলে হাতে গ্লাভস পরে থাকা যেতে পারে। অনেক বিশেষজ্ঞই বলেন, এই প্রক্রিয়ায় কাজ হয় তাড়াতাড়ি।