বর্ষাকালে পোকামাকড়ের উপদ্রব? জানুন করণীয়

বর্ষাকাল মানেই ঝুম বৃষ্টি আর ভেজা, স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে মাটির নিচে থাকা পোকামাকড় বর্ষায় উপরে আসে। আর তাতে বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রবও বাড়তে থাকে। এই কীটপতঙ্গগুলি কেবল খাবার এবং আসবাবপত্র নষ্ট করে না, মানুষের স্বাস্থ্যের ওপরও কিছুটা প্রভাব ফেলে। তাই পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য। রোগব্যাধি বয়ে নিয়ে আসা এইসব পোকামাকড় দূর করতে পারবেন ঘরোয়া উপায়েই—

নিমপাতা ও কালোজিরা

প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে পরিচিত এ দুটি উপাদান বেশ ভালো ফল দেয়। রান্নাঘরের কেবিনেট, আলমারি, বুক শেলফ, ঘরের বিভিন্ন তাক ও কেবিনেটে শুকনো নিমপাতা বা কালোজিরা কাপড়ে বেঁধে রেখে দিন। পোকামাকড় চলে যাবে।

পুদিনা পাতা

একমুঠো পুদিনা পাতা প্রথমে পানিতে ফুটিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা করে ঘরের যে সব জায়গায় মাকড়সার জাল আছে সেখানে স্প্রে করুন। পুদিনার তেল ও পানির মিশ্রণও স্প্রে করতে পারেন।

ব্লিচিং পাউডার

এক দিন পর পর বাড়ির চার পাশে ব্লিচিং পাউডার ও কার্বলিক অ্যাসিড ছড়ান। এছাড়া করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে বাড়ির মেঝে, যেসব জায়গা বেশি হাতের সংস্পর্শে আসে সেগুলোকে পানিতে ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে পরিষ্কার রাখুন।

কর্পূর

কর্পূর ব্যবহার মশা, মাছি তাড়ানোর সবচেয়ে সহজ ও সাধারণ উপায়। কয়েক টুকরা কর্পূর আধা কাপ পানিতে ভিজিয়ে ঘরের এক কোণে রেখে দিলে মশা-মাছির উপদ্রব অনেক কমে যায়। পিঁপড়া দূর করতে দরজা ও জানালায় বোরিক পাউডার ঢালুন। এছাড়া এক কাপ নারিকেল তেল নিয়ে তার সাথে কর্পূরের গুঁড়ো মিশিয়ে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছিটিয়ে দিন।

স্যাভলন ও ভিনেগার

স্যাভলন ও ভিনেগার দিয়ে রান্নাঘর মুছুন। পিঁপড়ার উপদ্রব কমাতে জানালায় ও দরজায় বরিক পাউডার দিন। ভিনেগার অ্যাসিটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যার গন্ধ পেলেই মাকড়সা পালায়। এজন্য প্রথমে ১ কাপ সাদা ভিনেগার এবং ১ কাপ পানি মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে ঘরের আনাচে-কানাচে স্প্রে করুন। যেখানে মাকড়শার উপদ্রব বেশি সেখানে বেশি করে স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

তবে, পোকামাকড় তাড়াতে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানে থাকবেন। কিছু কিছু রাসায়নিক বস্তু শুধু আপনাকে অস্বস্তিতেই ফেলবে না বরং স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপায়েই বর্ষাকালে পোকামাকড় তাড়াতে চেষ্টা করুন।