চেহারার ধরণ ও গায়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে চুলে রং করলে চমৎকার মানিয়ে যায় যে কাউকেই। শখের বশে কিংবা পরিকল্পিতভাবে চুলে রং করানোর পর বাধ্যতামূলকভাবেই, চুলের প্রতি বাড়তি যত্নশীল হতে হবে। নইলে অল্প কিছুদিনের মাঝেই নষ্ট হয়ে যাবে সাধের চুল। পড়ে নিন রঙিন চুলের যত্নে কী করা প্রয়োজন।
কালার-ট্রিটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করাও অনেক সময় নিরাপদ নয়। তাইতো রং করা চুলে ব্যবহার করতে হবে সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার। সালফেট হলো খুবই রুক্ষ ঘরানার পরিষ্কার উপাদান। যা রং করা চুলকে সহজেই শুষ্ক ও ভঙ্গুর করে তোলে। রঙিন চুলকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে অবশ্যই সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
সপ্তাহে ২-৩ বার চুলের শ্যাম্পু করার বিষয়ে অনেকেরই আপত্তির থাকবে। তবে ঠিকভাবে চুলের যত্ন নিলে ২-৩ বার শ্যাম্পু করাই যথেষ্ট। বিশেষত রঙিন চুলকে যদি দীর্ঘদিন উজ্জ্বল রাখতে চান ও চুলের রঙকে ধরে রাখতে চান তবে এক সপ্তাহে এর চাইতে বেশিবার শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
রঙিন চুল তো বটেই, রংহীন চুল হলেও ভেজা চুলে কখনোই ঘুমানো যাবে না। এতে চুলের ক্ষতি হবার পাশাপাশি মাথার ত্বকেও নানান ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। রঙিন চুলের ক্ষেত্রে, ভেজা চুলে ঘুমানোর ফলে রং অনেকটাই নিস্প্রভ হয়ে যায়।
গোসল কিংবা শ্যাম্পু করার সময় গরম পানি ব্যবহারের অভ্যাস থাকলেও, রঙিন চুলে গরম পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ গরম পানি ব্যবহারের চুলের কিউটিক্যালগুলো বড় হয়ে যায়। ফলে চুলের রং চুলের গোঁড়ার ভেতর ঢুকে যায় সহজেই। এতে চুল দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
সুইমিং পুলের পানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্লোরিন থাকে। এই ক্লোরিন রঙিন চুলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া চুলের রঙের কেমিক্যাল, পুলের পানির ক্লোরিনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে চুলের রঙেও পরিবর্তন নিয়ে আসে। যার ফলে হালকা রং গাড় ও গাড় রং নিস্প্রভ হয়ে যায়।
উপোরক্ত সকল নিয়ম মানার পাশাপাশি অবশ্যই এই নিয়মটি মানতে হবে। সাধারণ চুলে তো বটেই রঙিন চুলেও পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে। যে কারণে সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ বার চুলে তেল ব্যবহার করতে হবে।