প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দেশে বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছেন। ফলে করোনাকালে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু।
জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকে করোনার উপসর্গ ভেবে করোনা টেস্ট করাচ্ছেন। কিন্তু পরে দেখা যাচ্ছে—তিনি ডেঙ্গু নয়, করোনায় আক্রান্ত। আবার অনেকে ডেঙ্গু ও করোনা উভয় রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ফলে শুধু করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই রক্ষা নেই। বর্ষার এ মৌসুমে করোনা এড়ানোর পাশাপাশি ডেঙ্গু থেকে বাঁচতেও সতর্ক থাকতে হবে। ডেঙ্গুরোধে প্রাকৃতিক উপায় প্রয়োগ সবচেয়ে ভালো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—প্রাকৃতিকভাবেই ডেঙ্গুরোধ করা সম্ভব। এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত মশা ডেঙ্গুর বিস্তাররোধ করতে সক্ষম। পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ইয়োগিয়াকার্তা শহরে।
পরীক্ষায় ব্যবহার করা হয়েছে ওলবাকিয়া ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত মশাকে। ওলবাকিয়া মশার ক্ষতি করে না। কিন্তু ডেঙ্গু ভাইরাসের উপাদানটিকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। ওলবাকিয়া মশার শরীরে ঢুকে দীর্ঘসময় ধরে বংশ পরম্পরায় মশার ডেঙ্গু ইনফেকশন ছড়ানো থেকে সুরক্ষা দেবে।
ইয়োগিয়াকার্তা শহরকে ২৪টি জোনে ভাগ করে অর্ধেক পরিমাণ মশা ছাড়া হয়েছিল। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে জানায়, ডেঙ্গু আক্রান্তের ঘটনা প্রায় ৭৭ শতাংশ কমানো গিয়েছে। মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষকে হাসপাতালে চিকিৎসার সাহায্য নিতে হচ্ছে।